ভেঙে যাওয়া ঘরের চৌকাঠ তুলে বীরদর্পে দাঁড়িয়ে আছেন অরুন দাস। সেই ধ্বংসস্তূপে তার নিজের বাড়ীটাকে স্থির করে দাঁড় করাবেন, মনে তার প্রবল ইচ্ছা।
এই ছবিটা এই ছবিটা চাইছিলাম।
ছবিটা ঝটপট তুলে নিলাম।
প্রশ্ন করতে শুরু করলাম। ঝড় যখন প্রবল শক্তি নিয়ে আপনাদের আঘাত করল, আপনি তখন কি করছিলেন?
প্রকৃত বীরের মতো সে বলতে শুরু করল-
চারিদিকে তখন প্রবল আর্তনাদ।
ভীষণ ভীমরবে গর্জন করতে করতে ঝড় এগিয়ে আসলো। বাড়ির চাল টাকে লোফালুফি খেলার মত করে উড়িয়ে নিয়ে চলে গেল।
আমার বউটা চিৎকার করতে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেল। ছোট ছেলেটা কেঁদে ককিয়ে উঠলো।
মেয়েটা আমাকে ধরে ডুকরে উঠলো। আমার আর ওর হৃদস্পন্দন খুব দ্রুত লয়ে ছুটছে। ভাঙা চৌখাঠ ধরে বসে পড়লাম। আমি আর আমার পরিবার। বৃষ্টির ধারাতে ধুয়ে যেতে লাগলো আমাদের চোখের জল। কতক্ষন এভাবে ছিলাম জানিনা। কেউ ছিলনা পাশে,কেইবা কাকে রক্ষা করবে। সাত পুরুষের ভিটে ভেবেছিলাম, মরলে এখনই মরবো বাঁচলে এখানেই থাকব।


আজ সকালে সুর্য উঠেছে দিনটা ভালো। এই আমার পরিবার সংসারের খুঁটি নাটি খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমি অরুন দাস,ঘরামী কাজ জানি, এখানেই আবার আমার ঘর বানাবো । ছবি বাবু, এবারে মুক্তি দেন কাজে লাগবো। নমস্কার।