আমি বৃষ্টির পূর্বাভাষ দেখেছি
আকাশ কালো কাজল করে মেঘ জমেছিল;
দুরের দিগন্তরেখায় বিদ্যুৎ ঝলসে উঠেছিল
তোমার চোখে ছিল রক্তকনিকার সুতীব্র আস্ফালন!
মনের গভীরে বজ্রের শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠছিলে;
আর মাঝে মাঝে শেষ চেষ্টার বিফলতায় দীর্ঘশ্বাস।
তিরতির কাঁপা ঠোঁটে অস্ফুট ধ্বনি তুলছিলে।
বৃষ্টি আসার পূর্বমুহূর্ত বুঝে গিয়েছিলাম...
তাই আমি চোখ সরিয়ে নিয়েছি নন্দিনী।


তোমার সজল দুচোখ কিছুতেই দেখতে পারবনা।
বরং সাদা দেয়ালের জানলায় চোখ রাখব
দেখার চেষ্টা করব শহরের অবিরাম বৃষ্টি
ভেবে নেব ভিজে যাচ্ছে শহীদমিনার
ভিজছে সেই ভিক্টোরিয়ার বিখ্যাত পরী
রবিন্দ্রসদনের বকুল চত্বর সেটাও ভিজে যাচ্ছে;
সেখানে আমাদের যত সংলাপ ছিল, তাও ধুয়ে যাচ্ছে
কোথায় যেন একটা ভিজে কাক কর্কশ শব্দে
অনবরত আমারই মতন বৃষ্টি থামার প্রার্থনা করছে ।


ঘরের ভিতরে ও কি বৃষ্টি ঝরছে !
আমার সাদা বিছানা সাদা চাদর সব ভিজে যাচ্ছে
স্যালাইনের বোতল থেকে অবিরাম
টিপ টিপ করে বৃষ্টি ঝরছে ।
আমার চিন্তা চেতনা সব বৃষ্টির জলে ডুবে যাচ্ছে।
কথা বলার শক্তি ও ক্রমশ হারিয়ে ফেলছি।
নন্দিনী, তুমি কাঁদলে আমার এমন হয়।
কেন জানিনা ! তুমি জানো?
হয়তো বৃষ্টির মতন হারিয়ে যাই। তুমি চাওনা।