মানুষটা লড়ে চলেছে
বুকের হাঁপড়ে যতটা দম নেওয়া যায়, নিয়ে নিচ্ছে;
গলার শিরাগুলো রক্তচাপে ফুঁসে উঠছে ;
যেন মরাগাঙে বান ডেকেছে ।
চোখদুটো অর্ধনমিত অথচ দৃষ্টিহীন
যেন যুগ যুগ ধরে কোন তপস্বী কঠিন ধ্যনে মগ্ন ।
হাজার বছরের ক্লান্তি সারা মুখজুড়ে;
দক্ষিণ চোখের কোণে ফল্গুর মতো চিকন জলফোটা।
শরীর জুড়ে শমনের শর ফালাফালা করে চলেছে ।
তবু মানুষটা একটার পর একটা অস্ত্র ফিরিয়ে দিচ্ছে।
যেন হা হা রবে অট্টহাস্য করে বলে চলেছে -
এখনো এই শরীরে যে প্রানের অধিকার
জন্ম সুত্রে পেয়েছি । সেখানে নেই কোন দখলদারি ;
যাও ফিরে যাও ওহে দাম্ভিক মরণ রে ফিরে যাও ।
যখন সন্ধ্যা ঘনাবে পাখিরা ফিরবে কুলায়
তুলসীতলায় প্রদীপ দিয়ে কেউ শঙ্খ বাজবে,
মা আমার পথের দিকে চেয়ে বলবে
বাছারে অনেক দিনতো হয়ে গেল,
এবার সব ফেলে আয় আমার কোলে আয় ।
তখন মরণ এসো দখল নিও এই নশ্বর শরীর ।
আজ ফিরে যাও । আজ আমি অমিতশক্তিধর ।