বয়স কত?    


ঠিক জানিনা।তবে সে বছর ভীষণ খরা ছিল।
কবিগুরু রবি ঠাকুরের জন্ম শতবার্ষিকী ছিল।
মজুমদার গিন্নির বড় আম খাওয়ার শখ ছিল।


ঠিক আছে ঠিক আছে, এখন অসুবিধা কি?


অসুবিধা একটাই সোজা দাঁড়াতে পারছি না।
পড়ে গিয়ে কোমরটা হয়তো ভেঙেই গেছে।


কি করে পড়ে গেলেন?


এতগুলো বছর পার করেছি দেখেছি কত ঝড়।
এবারের ঝড়ে তীব্রতা ছিল মারাত্মক।
এবারে বুক দিয়ে সামাল দিতে পারলাম না।
বুঝলাম আমার বয়স হয়েছে।


আপনার সমস্যা ছোট করে বলুন?
আমাকে এখন অনেকের বাড়ি ছুটতে হবে।


বলছি বলছি হাফ লেগেছে দম নিয়ে নিই।
এবারে অনেক মুকুল এসেছিল, ফল মন্দ হয়নি।
গাছে ফলে ছিল বাড়বাড়ন্ত।
কত পাখি আসতো,
মুকুল গন্ধে এলাকা ম ম করত।


তারপর, তাড়াতাড়ি শেষ করুন।


হ্যাঁ বলছি, দুপুর থেকে সন্ধ্যা ঝড় সামলেছি।
সন্ধ্যের পরে সব আলো চলে গেল।
ঠিক তখনই তীব্র দাপটে
আমাকে একেবারে ধরাশায়ী করল।
ওই শয়তান ঝড়!
মটমট করে মূল শিকড় ছিঁড়ে গেল ।
তবে আশে পাশে কারোর ক্ষতি করিনি।
আধশোয়া হয়ে ফাঁকা মাঠে পড়েছি।


বুঝেছি আপনার এখন শেষ অবস্থা ।
যেটুকু যা আছে মাটিতে আর শিকড়ে ,
সেটুকুও আর হয়তো থাকবেনা।
যতটুকু প্রাণ আছে বেঁচে নিন।
আকাশ দেখার থাকে দেখে নিন।
বাড়ীর গৃহকর্তা  গাছের  কসাই দেখছে ,
পেলে বাকি জীবন ওরা সাবার করে দেবে।
নমস্কার ওহে আম্রপালি বৃক্ষ মহারাজ,
আপনাকে সারিয়ে তুলতে আমি অক্ষম।