শশীবাবু চারখানা ব্যাগ নিয়ে বাজারেতে যায় ।
তড়িঘড়ি মতিবাবু একই পথে দেখা হয়ে যায়।


কেমন আছো হে মতিবাবু কাষ্ঠহেসে শশীবাবু কন;
এ পথে আসেন না বুঝি, তাই দেখিনি অনেকদিন।


আয়না টাকের ঘাম মুছে মিহিস্বরে মতিবাবু কন,
কিকরে ভালো থাকি দাদা বাজারতে লেগেছে আগুন।


সাদাধুতির কোঁচায় গোল চশমা করে মোছামুছি
শশীবাবু বলেন, তাইতো হাতে শুন্যঝোলা বুঝি।


আলু পিঁয়াজ উচ্ছে পটল দাউ দাউ পুড়ে হচ্চে ছাই
সেসব দেখেই মানুষ সবাই বলছে পালায় পালায়।
কে যেন এক রসিক মানুষ দমকলেতে খবর দেয়;
বাজিয়ে ঘণ্টা জল ছড়িয়ে বাজারেতে আগুন নেভায়।
আমার বাড়ির ছিল কড়া হুকুম, শুধু কাঁচালঙ্কা চায়।
পকেটের দম ফুরিয়েছে কেজি খানেক কাঁচালঙ্কায়।


থামেন থামেন মতিবাবু এ আপনাদের বড় দোষ;
একবার বলতে শুরু করলে করেন নাতো শেষ।
আমার আবার দুবাই থেকে আসবে মেয়ে জামাই
ইলিশ না হলে খাবেনা রাইস জামাইয়ের বড় খাঁয়।
রাতের খাবার বাটার নান আর সঙ্গে চিলি চিকেন
কাল যে আবার রবিবার থাকবে থালায় মাটন ।


চুপসে গিয়ে মতিবাবু কয় দাদা আমারে ছাড়ি দেন।  
বাকি কথা না হয় অন্যদিন, ধরে বেঁধে কয়ে দেবেন।


যাও হে মতি বাড়ি গিয়ে খাও কাঁচালঙ্কার ঝালের ঝোল;
বাজারমুখো শশীবাবু উড়ছে কোঁচা গালেতে পড়ে টোল ;
ভাবখানা এমন 'ঘরে যার লক্ষ্মী বাঁধা সে কিসে ভয় পায়?
কালো টাকার সূক্ষ্ম জালে রোজ ইলিশেরা দোল খায়।