মনোময়ের মন জুড়ে গুঁড়ো গুঁড়ো ধূসর ধূলার স্মৃতি
উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে সারাটা সকাল সন্ধ্যে
ওদের সারা শরীরে ভালবাসার মন্দবাসার ছিটেফোঁটা দাগ
একটা পূরানো মরচেধরা আস্তরনের গন্ধ... নেশা লাগে...


তাই রাতে দরজা খুলে রেখেছিলুম
যদি ওরা আসে একান্ত সেই ভরসায়...
এই বুঝি ওরা আসে ... আসে...
নিবিষ্ট অনুভবে মিষ্টি সুবাস ভেসে এলো...
চিনি ! হয়তো চিনি... কিম্বি চিনিনা... তবু...
হ্যাঁ মনে করবার চেষ্টা করলুম... পারছিনা কষ্ট হচ্চে...


কে যেন বলে ওঠে - ওটা গোলকচাঁপার গন্ধ
আঁতকে ওঠার মতন বললুম - তোমায় খুব চেনা লাগছে অথচ!
হাস্নুহানার মত ফিক হাসি - আমি তো তোমার সেই...
কিশোর বেলার রাইকিশোরী আর বর্তমানের কঙ্কাবতী।


ইতস্তত করে বললুম ও কোথায়?
যে তোমার সাথে মহুয়া গন্ধের মতন লেগে থাকত?
আমি যে তোমাদের যুগলে দেখব আশা করেছিলুম।


জ্যোৎস্নার মতন হাসিতে - ও যে নিতান্ত ছেলেমানুষ।
এমন নিশুতি রাতে, পূর্ণযৌবনা নারী প্রেমিকের মিলন লাগি।
ইচ্ছা করেই সাথে নিইনি ... তাই ছুটি দিয়েদিলুম...
মনকে এখন গুটিপোকা রেখোনা, ভেবে নাও তুমি প্রজাপতি!
ঘরের বাইরে আর নেই পুরু বরফের চাদর বিছানো ।
উহু, চাঁদের বৃষ্টিতে চারিদিক মোহিনী মায়াজাল
কিশোরী রাইকিশোরী যা দিতে পারেনি
আজ কঙ্কাবতী তাই দিতে প্রস্তুত।
চলে এসো ...অনন্ত সময় সাথে নিয়ে।