বাইরে বরষাকালের মতন বৃষ্টি হয়ে চলেছে ;
যখন ভীষণ জোরে এক্বটা বাজ পড়ল খুব কাছে ,
অজানা আশঙ্কাতে বুকের ভিতরটা কেঁপে গেল ।
আর সাথে সাথে ঘরের বাতিগুলো নিবে গেল।


সাতদিন ধরে সপ্তর্ষি ঘরের বাইরে বের হয়নি।
অন্তর জুড়ে বোধ হয় ঘটে চলছে ঝড়ের দাপট ;
মুখে কোন কথা নেই অথচ মুখজুড়ে সাইক্লোন ছবি!
শব্দহীন প্রবল আপত্তি অস্থায়ী বাতি'টা সে চাইছেনা।

ঠিক এমনি বৃষ্টিকালে নিমগ্ন হয়ে বেহালা বাজায় ;
আজ যেন অন্ধকারের সাথে কি এক বোঝাপড়াতে ।
বুকের ভিতরে ছ্যাঁত শব্দ যেন গরম তেলে ঠাণ্ডাজল,
দেয়াল থেকে বেহালা'টা এনে বললাম বাজাওনা ।


নিঃশব্দে যন্ত্রের মত প্রিয় বেহালা সে বুকে তুলে নেয়
তারপর ছড় দিয়ে সুর তুলতে থাকে বেহালার তারে।
এসুর অন্যরকম বাইরের তাণ্ডবের সাথে ভীষণ মিল
বুকের ভিতর তোলপাড় অসহ্য চীৎকারে বলি-থামাও।


থামলনা অনবরত চলছে সেই সুরের ঝালার অগ্নিদাহ;
সম্বিত ফিরতেই দেখি ঘুমন্ত সপ্তর্ষিকে ঘিরে কত আলো।
বাইরে প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা নেই সে যেন সরল শিশু
সপ্তর্ষির বেহালা'র ছড়টা কিছুতেই নিতে পারলাম না ।