আমায় তুই পৃথিবীর অন্যতমা করেছিস ।
আমার সুধারসে তোর ককিয়ে ওঠা কান্না থেমেছে ।
যখনই ডেকেছিস মা... জুড়িয়ে গেছে সব যন্ত্রণা ।


আমায় করে তুলেছিস অপরুপা পরিপূর্ণা
আমার দিকে আঙ্গুল তুলেছিল, তারাও হতবাক !
বন্ধ্যা মাটিতে তিন ফসলি ফসলে ভরা সংসার ।


আমি সুখী। কপালে আমার লাল সিন্দুর টিপ ;
আমার এই পৃথিবী ঠিক আমার মনের মতন ।
ঝড় বৃষ্টি মাথায় লড়েছি বিশাল ছাতা হয়ে ।


আমি সাদাথানে। এই দ্বিতীয় পৃথিবীতে ও সুখী
পুরনো হয়েছে ছাতা, এখন বৃষ্টি বুকেতে ঝরে ।
আপন আপন কাজে সরে গেছে সব দুরে দুরে ।


আমার আলুভাতে পান্তা পেঁয়াজেও সুখ ছিল ।
সবুজ জমিতে ফসলের গন্ধ আর কাকলি ছিল।
একদিন এমন অসুখী-দিন আসবে ভাবিনি ।


আমি কেমন আছি, তোর জানতে ইচ্ছা করেনা ?
একটা চোখ কবেই গেছে অন্যটাও যেতে বসেছে;
তবু ও চশমাটা অভ্যাসবসত ঘসে আবার পড়ি ।


আমার চেনার চেষ্টা গলার স্বরে, কথার ভাঁজে ;
ভাবি, তোর একটা ফোন হয়তো স্বস্তি দেবে ;
পৃথিবী ছাড়ার ডাক এসেছে নিঃশব্দে হামাগুড়িতে ...


এরপরও ...
আমার অপেক্ষা ঘড়ির টিক টিক শব্দে  
আমার দিনাতিপাত শরীরের বেঁচে থাকার যন্ত্রনাতে
আমি বিন্দুর মা। অপেক্ষা করছি অপরাহ্ন বেলাতেও...
         যদি তোর একটা ফোন... আসে