অবনী কি সত্যি হারিয়েছে
নাকি এখনো বেঁচে তোমার আমার অন্তরে
সে মুখ লুকিয়েছে। জানিনা কোন ফুসমন্তরে
হয়তো চাপ নিতে পারেনি ;
বেলা বলেছিল - অবনী এভাবে মেলামেশা আর নয়।
মা বলেছে, সামনের রবিবার আমায় দেখতে আসবে ।
অবনী বিস্ময় চোখে চেয়েছিল... বেলার দিকে।
-" কিছুদিন কি অপেক্ষা করা যায়না।"
অসম্মতির প্রকাশ করে বেলা কর্পূরের মতন উবে গিয়েছিল।


অবনী যখন দিশাহারা
কি করবে কিছু ঠিক করতে পারছে না।
একদিকে বিশাল খাদ, অন্যদিকে বৈতরণী দড়ি;
গলায় দেবার জন্য নাকি মুঠোয় নিয়ে বাঁচবার ।
নাহ জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি অবনী।
বাঁচবার জন্য কাঁপা মুঠোতে সে দড়ি ধরল ।
সামনের খাদ পেড়িয়ে যেতে মিথ্যে বলা শিখল।
ডক্টরেটের নেশা জলাঞ্জলি দিয়ে
এখন অবনী মানুষকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখায়।


অবনী এখন অনিদ্রায় ঠাণ্ডাঘরে প্রহরী বেষ্টিত ।
মিথ্যে প্রতিশ্রুতির কবরে নতুন প্রতিশ্রুতির চারা বসায়।
কেউ মালা দেয় কেউ কালো পতাকা দেখায়।
ভ্রুক্ষেপ করেনা এগিয়ে যায় আর আরও ...
একদিন দুঃসহ রাতে দুস্বপ্ন দেখে জেগে ওঠে।
রক্তাক্ত বেলা আগুন শিখা হয়ে সামনে ।
প্রশ্ন করে - বলেছিলে দেবে লাল নীল সংসার।
অবনী কিছু বলতে গিয়ে বলতে পারেনি
ওর জিভ ওর হাত পা চোখ কেউ সাথ দেয়নি।