তখন বৃষ্টি এলে
রাস্তার জমা জলে উপচে যেত হাজার একটা খুশী
বঙ্গলিপির পাতা তখন সপ্তডিঙ্গার নাও, তুই সাক্ষী
এদেশ থেকে বিদেশ পাড়ি দিতাম স্বপ্নের সওদাগর ।
গুঁড়ো গুঁড়ো বৃষ্টি শিশির হয়ে বসে পড়তো
         তোর ঝাঁকড়া মাথার চুলে ।
অবাক হয়ে দেখতাম আর সময় ভুলে যেতাম
জাগিয়ে দিয়ে বলতিস - অমন করে কি দেখিস ?


এখন আবার বৃষ্টি এসেছে
তোর মুখটা উঠলো ভেসে ঠিক পদ্মকুঁড়ির মতন
তোর শরীরে জলের ফোটা, বৃষ্টি না কি কান্না !
বুকের ভেতর উথাল পাথাল এখন একটাই খুশী
সপ্তডিঙ্গার সওদাগর আজ ভিড়েছে স্বপ্নের দেশে
বলতে ইচ্ছে হোল বৃষ্টি এলে তুই আসিস
           বাকি সময় পাইনা কেন তোকে ?
জাগিয়ে দিয়ে বলে গেলি - কেমন আছিস তুই ?
আমি এখন অন্যমেঘের দেশে
সত্যি বলছি আমার আর বৃষ্টি ভালো লাগে না ।