কুঁড়েঘরে নাকি চাঁদের আলো চুরি যায় না ?
যায় যায় যখন যায় তখন যায় চুপিসারে আসে হায়না।
সেই ভরসাতে দিইনি কখনো শিকল তুলে
কেঁপে উঠলো ভুমি, বিশ্বাসের প্রাচীর উঠলো দুলে।
কদিন ধরে কাজ নেই কিন্ত খিদে আছে
শুকনো মুখে ঘুরছি ফিরছি বাচ্চাটার কি বোধ বুদ্ধি আছে ?


সে কাঁদছে - মা'রে কিছু খেতে দেনা পেটেযে বড় খিদে ।
বউটা স্বান্তনা দেয় এইতো দিচ্ছি বাবা একটু সুবুর কর ।
মুড়ির বাটি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলে ভাত দে ভাত খাব।
মাথায় আমার রক্ত চড়ে গেল ।
ছেলেটাকে মারবার জন্য এগিয়ে গেলাম
কোদাল কোপান হাতের চড়টা শ্যামলীর গালে।
ছিটকে গিয়ে পড়ে তিন হাত দুরে বাঁশের খুঁটীতে ।
কপাল কেটে গিয়ে রক্ত, ছেলে কান্না থামিয়ে দেয়;
শ্যামলী বোবার মতন চেয়ে আছে আমার দিকে ।
ওর আগুণ চোখের দৃষ্টিতে দাঊ দাঊ করে জ্বলছি ।
অনেক রাতে ঘরে ফিরছি খাবার কিনে ;
ভাগ্যিস স্টেশন চত্বরে চায়ের দোকানের ছেলেটা আসেনি ।
এতো রাতে ছেলেটা অন্ধকারে চোখ জ্বেলে বসে আছে।
              মা কোথায় রে ?
- মা বোল্লো যে ভাতের জোগাড় করে ফিরবে ।
চাঁদের আলোয় ছেলের মুখটা মনে হোল অন্যগ্রহের কেউ।
হাতের খাবার ছেলেটা পাগলের মতন ছিনিয়ে নিল ।


একটা বিকট আর্তনাদ, ঝটপটানি তারপর নিশ্ছিদ্র স্তব্ধতা
নাটকের পরের দৃশ্য ছিল রক্তমাখা একটা কোদাল ।
দারুন হাততালিতে ধিরে ধিরে পর্দা নেমে আসে ।