তুমি আমায় এই শরীর দান করেছ ।
দেখিয়েছ এ দুচোখে পৃথিবীর আলো ।
ভার বয়েছ তিলে তিলে দশমাস দশদিন।
প্রতি হৃদস্পন্দনে হয়েছ চমকিত ;
দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়েছ অন্তিম প্রসবকালীন।
আমার সুতীব্র কান্নায় সে যন্ত্রণা প্রশমিত।
চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল নোনাপানির ধারা!


সেই তুমি আজ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত
এই জগত সংসারে পেয়েছ কাঁকড়ার মতো জীবন ।
প্রতিকোষ থেকে শুষে নেয় শিশুকাঁকড়া হও ছিবড়ে;
এখন ঠায় পেয়েছ আলোর ওপারে কিম্বা বৃদ্ধাশ্রমে ।
তোমাকেই প্রকারান্তরে দিতে থাকি বা দান করি ।
এই যেমন প্রতি সভায় বস্ত্রদান করি ঘটা করে ;
দেখোনা, ঢাক ঢোল বাজিয়ে কেমন চক্ষুদান করলাম !