দুই চোরেতে যুক্তি করে গভীর রাতে
         দুজন মিলে করবে চুরি গুপ্তবাড়ি ।
লম্বাচোরের বুদ্ধি খাটো সিঁদটি ভাল কাটে
         বেঁটেচোরের বুদ্ধি ভীষণ ভারি।
লম্বু ভাবে ওকে ভরসা করিনে কাটব সিঁদ
         মাথার মগজট লাগিয়ে কাজে ।
যেমনি ভাবা তেমনি কাজ চুরির চোরাই মাল
      ডুবিয়ে রাখে পচাপুকুরের মাঝে।


ডাক আসেনা প্রহর কাটে, দূরে শিয়াল ডাকে
        রাতটা জেগে থাকে অপেক্ষাতে।
বেঁটেচোরটা দেরি দেখে নিজেই সেথা যায় ছুটে
        দেখে সে ঘুমায় ঘরে নিশ্চিন্তে ।
ছুটে গেল গুপ্তবাড়ি, যা ভেবেছে তাই হয়েছে
       ব্যাটা সিঁদটি কেটে করেছে চুরি।
চোরাই মাল রাখবেনা সে ঘরে, তেমন বোকা নয়,
      করব এবার চোরের উপর বাটপাড়ি ।


বুকটা ওঠে ছ্যাঁত করে চাঁদের ছায়া পচাপুকুরে
       বেঁটে চোরের মগজে ঢেউ খেলে।
হাঁটলে পড়ে পুকুর ধারে,ব্যাঙ লাফিয়ে জলে পড়ে
         এবার বুঝি অঙ্কটা ঠিক মেলে।
এক জায়গায় ব্যাঙ লাফায়নি, প্রশ্নটা জাগে তখুনি
          এইখানেতে পাবে অমুল্যরতন।
সেখান দিয়ে নেমে জলে, অরুপরতন গেল মিলে
        হলো চোরের উপর বাটপাড়িটা এখন?