রামধনু দেখতে তোর এত ভাল লাগে !
তাই কি বার বার ছুটে আসিস এখানে
আল পেড়িয়ে পাটের ভুঁইতে হারিয়ে যাস ।
হরিণের মতন ছুটতে ছুটতে দিগন্ত দেখিস ।
সবুজ ধানের ক্ষেতে এখন বাতাসের ঢেউ
আহ বাবলার কাঁটা ফুটল বুঝি পায়ে ...
    দেখি ইস কত রক্ত ব্যথা করছে তাই নারে;
নিস্পাপ মুখে বলে দিলি কই নাতো অথচ...
কাঁটা সরাতেই তোর যন্ত্রণা মুখ মেঘমুক্ত আকাশ ।
''মাঠের মধ্যে একা একা ছুটে আসিস কেন ?
       তোর ভয় করে না ।''


জানি তো তুমি থাকবে, আমার বাঁশিওয়ালা।
কি সুন্দর অদ্ভূত সুর করে বাঁশি বাজাও ;
তোমায় ভয় করব? কেন ? তুমি বাঘ না ভালুক !
যখন পেশীবহুল হাতে কোদাল চালাও
   মাঝে মাঝে কপালের ঘাম মাটিতে পড়ে।
আমার কেমন কষ্ট হয় বুকের ভেতর ।
      কেন? সেটাই তো বুঝতে পারিনা ।
তোমাকে ছুঁয়ে দুরের নীল দিগন্তে রামধনু
      দেখার মজায় যেন আলাদা ।
যেই আকাশে লকলকে জিভে বিদ্যুত চমকায়
তখন রাজ্যের ভয়ে আমি চিত্কার করে উঠি ।
   তুমি যেন পরম ত্রাতা হয়ে জড়িয়ে ধরো।
চোখ বন্ধে অনুভব করি দিগন্ত বিস্তৃত রামধনু ।
    
        মনে মনে আমি বিরবির করি
"আমি ভালো নই । আমার সাথে কেন মিশিস?
পড়াশুনো করিস! বুঝিস না আমি তোর যোগ্য নই ''
যা ফিরে যা! আর কোনদিন এখানে আসবিনা ।
তেপান্তরের কোনো রাজপুত্তুর হবে তোর রামধনু ।
         আমি একটা ফালতু মানুষ ।
দিগন্তে তখন বিদ্যুত খেলতেই মুন্নি চিত্কার করে ওঠে...