কাল রাতে দুর্গা এসেছিল ।
বলেছিল থাকতে দিবি কিছুক্ষন? সময় হলে চলে যাব ।
চোখে কপালে প্রশ্ন দাগ দেখে
সামান্য হেসে বলেছিল- দুর্গা বলল - তুই না বললেও থাকব।
অভিমান করে নিজেকে ঘরবন্দী করেছিস ।
ভেবে দেখলাম ছানাপোনা নিয়ে তোর কাছেই আসি।
ওখানে এত আলো এত শব্দ এত ভিড় ভাল্লাগে!
দেখনা মেয়ে দুটোকে পারলে নিয়ে যায় যায় আরকি;
আমার রণ মূর্তি দেখে ওরা সাহস পায়না।
বড় ছেলেটাকে বলে প্রতিবন্ধী ছোটটার নাকি নজর ভালোনা।
আর রোজ রোজ ওই এক খাবার ভাল লাগে?
তাই তোর কাছেই এলাম । জিভের স্বাদ পালটাবো ।
তোর বউয়ের হাতে নাকি জাদু আছে ?
তুই ভালই জানিস যে আমি অন্তর্যামী !
সাদা ভাত আর মুগের ডাল সাথে গন্ধরাজ লেবু দিস।
ইলিশের মাথা দিয়ে কচু রান্না করেছে ।
লোভ আর সংবরণ করতে পারলাম না ।
তোদের ভাগে হয়তো একটু কম পড়বে ;
আহাহা কতদিন যে খায়নি তোকে কি বলব ।
দেরী করসিনা । দিনের আলো ফোটার আগে ফিরতে হবে ।
মণ্ডপে আমাদের না দেখলে কেলেঙ্কারি হবে ।
এক থালাতে সাজিয়ে দে ।বাকিটা বুঝে নেব ,
দশহাতে ছেলেমেয়েকে খাওয়াব নিজে খাব।
মিঠে পাতার পান সাথে একটু মৌরি দিস।
ঝনঝন শব্দে থালা পড়ার আওয়াজে ঘুম ভাঙল।
একটা বেড়াল 'মেও মেও' করে কি যেন বলে গেল ?
তর্জমাতে মনে হোল দুর্গা ঠিক 'টা টা' বলে গেল ।