বড় ইচ্ছা হয়েছিলি
তাইতো তোকে আঁধার থেকে আলোয় এনেছিলাম।
বুকের ভিতর সেদিন কি যে অস্থিরতা
আসন্ন প্রসবে শুনেছি অহরহ হাতুড়ির শব্দ।
দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে
বদ্ধমুষ্টিতে তীব্র চিৎকারে জানিয়ে দিলি তুই এসেছিস।
দুচোখে আমার তখন আন্দোলিত সবুজঘাস।
এই আনন্দের কোন জরিপ হয়তো করা যায়না।
তবুও বলতে পারি ঠিক এমন করে।
দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে যেমন
প্রথম আষাঢ়ের বৃষ্টিতে জমি স্নান করে।
বিদ্যুৎ তরঙ্গ যেমন মেঘ থেকে মেঘে ছড়িয়ে পড়ে
পাহাড়ের ঝরনা যেমন স্রোত নিয়ে চলে সমুদ্রপানে।


যখন সাজিয়ে দেখান হল, এই যে আপনার সৃষ্টি
তখন আমার অন্তরে সুনামি বাহিরে শ্রাবণধারা।
তোর অবুঝ দৃষ্টিপাতে নিরন্তর বলে চলেছিস
হে স্রষ্টা আমি তোমারি সৃষ্টি
তোমার সাথে আমার একাত্মতা জন্মজন্মান্তরের।


আজো দেখি যখন সম্পর্কের সুতোয় টান পড়ে
তোর মুখ হয়ে যায় বাদলের মেঘ, কিছুটা বিদ্যুৎ ঝিলিক;
বুঝতে পারিনা আবাহন না বিসর্জন সুর বাজে।
তোর চোখে জল দেখি আমারও ঠিক তাই।
হয়তো দোষ কিছু থাকে বোঝাপড়াতে,
ভুলে যা!  ভুলে গিয়ে ডেকে দেখিস সাড়া দেব।
আমি তো রয়েই গেলাম শরীরে অশরীর,
তোর কাছে তোর পাশে রক্তে জিনে একাত্ম হয়ে।