ফেরিওয়ালা লোকটা বাজাতে বাজাতে চলে গেল ।
বাদ্যযন্ত্রের নামটা কিছুতেই মনে করতে পারলাম না।
নন্দিনী তুমি পাশে থাকলে ঠিক বলে দিতে নামটা।
ওর ঝুরিতে অনেকগুলো ভাবলাম ওকে ডাতা।কিনব;
        তারপর কি মনে করে আর ডাকা হল না ।
লোকটাকে আর দেখছিনা, কিন্ত সুরটা শুনতে পাচ্ছি।
এই সুরটা শুনলে অনেক আনুসাঙ্গিক কথা মনে আসে;
রাজস্থানী পোশাক পড়া রমণীদের কথা মনে আসে,
রঙিন ঘাগরা আর সাথে সাথে হরেক বর্ণের চোলী।
আর বাহু পর্যন্ত নানান মাপের সাদা চুড়ি পড়া হাত ।
যত দূরে যায় সে ফেরিওয়ালা তত গভীর হয় সেই সুর ।
একরাশ কান্না যেন উথলে উঠতে চায়ছে শরীর থেকে।
নন্দিনী পাশে থাকলে ঠিক বলতো  আমার কেন এমন হয় ?
আর বলতো আমার মাথায় লাল হলুদ পাগড়ী খুব মানায় ।
আমি ও বলতাম কাঁচ বসানো লম্বা বিনুনিতে তুমি ও অপরূপা ।
তারপর কি হল বল? বলনা নন্দিনী আমার মনে নেই ।
তারপর ঝড় উঠলো মরুঝড়, তুমি আমি হারিয়ে গেলাম ।
তারপর? তারপর আর নেই । কিছু নেই কিছু নেই ...
আছে আছে মরুভুমি ভেজাতে পারে এমন একরাশ কান্না।