এইমাত্র একটা ঝিনুকে হয়ে গেল রক্তক্ষরণ
যন্ত্রণাতে ঝিনুক কুঁকড়ে আর্তনাদ করে ওঠে
তুমি হয়তো শোননি, বা শুনেও গুরুত্ব দাওনি
ঝিনুক এখন একটু একটু করে
তাঁর গভীর যন্ত্রণা প্রশমিত করছে
সারা শরীরে ডাক পাঠিয়ে সংগ্রহ করে লালারস।
ধিরে ধিরে আফিম নেশায়, ঝিনুক যন্ত্রণা ভুলে যায়।
মহামুল্যবান ঝিলিক দেওয়া মুক্তোর জন্ম হয়।
কিন্ত কেউ জানবেনা ... জানতে চাইবেনা...
মুক্তোর শরীরের বিচিত্র যন্ত্রণায় বেড়েছে তাঁর বাহার।


কষ্ট যখন কুড়ে কুড়ে হৃদয় রক্তাক্ত করে যায়;
ঠিক তখনই একটা করে কবিতার জন্ম হয় ।
ঐযে রুপকথায় ছিলনা...
রাজকন্যে রাজপুত্রের অপেক্ষায় কষ্টের দিন গুনছে,
তার চোখের জল টপ ...টপ করে নদীতে পড়ছে;
সেই জলে একটা একটা করে নীলপদ্ম ফুটে উঠছে;
নদীর স্রোতে দুর দুরান্তরে ওরা ভেসে ভেসে চলেছে;
রাজপুত্র সেই নীলপদ্ম সন্ধান করতে করতে পৌঁছেছে;
রাজকন্যে জোছনা ভরা ওড়নায় অভিমানী মুখ ঢেকেছে ।
তারপর.. হাতে রইল একটা মুক্তো আর একটা কবিতা।