আবদার, এখন আমরা বড় হয়ে গেছি
আমি আর নন্দিনী একসাথে আলাদা ঘরে
ভীষন মজা হবে সারারাত গল্প হবে ।
মা অবশ্য বলেছিল রঞ্জিনী ভয় পাবিনাতো !
দুজনে সমস্বরে বলেছিলাম - এক্কেবারে না ।
ওর বাবা বলেছিল পাশের ঘরে আছি
দরকার হলে তুরন্ত ফোন করে দিও ।


গল্পে হাসিতে ক্রমশ রাত গভীর হয়
কথারা থেমে গেলে ও নিস্তব্ধতা ঘিরে ধরে ;
যেমন পুকুরের পানা সরালে আবার ভরে ওঠে ,
পাইন গাছের বন থেকে একঘেয়ে ঝিঞ্জির ডাক,
মাথার উপর ফ্যানের অদ্ভুত আওয়াজে ঘোরে ;
এতক্ষন খেয়াল করিনি কেমন ভয় ভয় করছে ।
টিউবের আলো কেমন কমে আসছে ;
কোথাও কেউ জোরে দরজা বন্ধ করে দিল ।
আর ঠিক তখনই সারাঘর অন্ধকারময়,
ঘরের মধ্যে আর একটা দরজা
বিকট শব্দে চকিতে খুলে গেল,
কল থেকে সশব্দে জল পড়ে যাচ্ছে ।
নন্দিনী ভয়ে কাঠ বলে আমায় ছেড়ে যাসনা
মোবাইল টর্চ জ্বলা অবস্থায় ছিটকে গেল ।
অদ্ভুত দপদপ আলোতে ভয়ঙ্কর এক পরিবেশ,
বিকৃত নিজছায়া ঘরের দেওয়ালে আহ
আতঙ্কে সমস্বরে চিত্কার তারপর জানিনা ।


পরদিন সকালে দুজনে দুজনকে বলি
কাল রাতে যা ঘটেছে আর যেন না ঘটে ।