সুদুর ওপার থেকে ডাক এসেছে  
সব ছেড়ে যেতে হবে যেতেই হবে ।
খড়খড়ি জানালা দালান চিলেকোঠা
ঐ তুলসীমঞ্চ মায় রূপসী রান্নাঘর ।
সাদাকালো বেড়ালটা বড় আদুরী
সন্ধ্যা হলেই পায়ে পায়ে ঘোরে ।
ভুলোটার বেশ বয়েস হয়েছে তবু
অজানা পায়ের শব্দে ওর কানখাড়া ।
ছেলেটা স্কুল থেকে এসে খুঁজবে
এঘর ওঘর সাড়া না পেয়ে ডাকবে ।
বংশরক্ষায় দত্তক নাম ওর আরুণি
রাজরোগে ভুগছি ও কিচ্ছু জানেনা ।


রোজকারের মতন বৈরাগী এসেছে
খঞ্জনি বাজিয়ে গানও শেষ করেছে ।
কুলুঙ্গির কাঁসার বাটির চাল আলু
আজ আর উপুড় হবেনা তোর ঝুলিতে ।
হারু বৈরাগী ক্ষণিক পরে ফিরে যাবে
অন্য দুয়ারে সে ভিক্ষা পেয়ে যাবে ।
নিঃশব্দে দুয়ারে কে যেন এসেছে
মুখ দেখিনা,মুখ যেন তার ঘন আঁধার ।
তুমি আমায় নিয়ে যাবে ঐ ওপারে
শরীরে সব যন্ত্রনা কি নিমেষে ফুরাবে ?
ও মরণ, কটা দিন ধার দিতে পারো
ফুল্লরার বারোমাস্যা ফুলটা যে অস্ফুট ।