জানলা দিয়ে রোদ্দুর পড়ছে তোমার মুখে
তুমি ঘুম জড়ানো চোখে বলবেনা
- সন্ধ্যা শুনছো, পর্দাটা টেনে দাওনা;


দূরে কোথাও হেমন্তের পাখীরা
সুন্দর শিষে সকালের গল্প বলাবলি করছে।
কামিনীর ডালে সব ফুলেরা ঝরে গেছে।
টগরের পাতা কেমন বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
আগের মতন ফুল হয়না, কেমন কমে গেছে।
আজকাল টবের মানিপ্লান্টে দেখি শিশির;
হয়তো হেমন্তের হিমেল বাতাস ছড়িয়ে পড়ছে।
পাতলা চাদরে তোমার শীত ভাঙেনা,
বরাবরই তুমি একটু শীতকাতুরে। কই বলছনাতো
- চাদরটা একটু ঠিক ঠাক করে দাও।


ভোর রাত থেকে দেখছি এক্কাতে শুয়ে আছো।
রাতভোর খাটে এপাশ ওপাশ করেছ।
তাই কী এখন অঘোরে ঘুমাচ্ছ।
একেবারে নিস্তব্ধ। কোন সাড়া শব্দ নেই।
শোবার সময় ওষুধের সাথে জল খেয়েছ।
রাতে একবারের জন্যে ও বলোনি
- সন্ধ্যা জল খাব, একবারটি জল দেবে।


কাল বিকেলের চা খাবার সময়
তোমার চোখে জল দেখে বলেছিলাম
- কি কষ্ট হচ্ছে বলবে?
মুখের দিকে নিস্পলক চেয়ে থাকলে
কিচ্ছু বললেনা শুধু ঠোঁটদুটো কেঁপেছিল;
তারপর মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলে দেওয়ালের দিকে।
আমিই বললাম - ঠিক আছে, বুঝেছি।
আর কষ্ট করে কিছু বলবার চেষ্টা করতে হবেনা।


সকালে বাস্পওঠা চা তোমার খুব প্রিয়
নিয়ে এসেছি, তুমি আমি মুখোমুখি বসে খাব।
বেলা যে গড়িয়ে গেল; এখনো ঘুমাবে;
আর ঘুমায়না, এবার লক্ষ্মীটি উঠে পড়।