পথে ঘাটে মাঠে ইলিশের কথা শুনলেই
নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে পড়ি একা পাও চলতে পারিনা।
দুপায়ে শিকল না বোধহয় শিকড় গজিয়ে ওঠে।
ক্রমশ যেন সে প্রবেশ করে মাটির গভীরে।
মানসচক্ষে তাকেই প্রত্যক্ষ করি নিরন্তর...
দৈর্ঘ্য প্রস্থে পড়ে আছে অফুরন্ত যেন একফালি জ্যোৎস্না...
হয়তো শাহজাহানও পূর্ণিমার তাজমহলে হতো এমনি উন্মত্ত।


দোষ নিওনা, ইলিশের নামে নেশাসক্ত হয়ে পড়ি।
চোখের উপর একে একে ভেসে ওঠে স্বপ্নের মতন।
অতিধীর পদচারনায় ওরা বাতাসে উড়ে বেড়ায়,
ছুঁয়ে দেখতে গেলেই চকিতে মিলিয়ে যায়।
কবে কি আস্বাদ পেয়েছিলাম সেইসব একটা একটা পদ।
ইলিশপাতুরি কলাপাতার সবুজ মোড়কে
ইলিশ ভাপা কচি লাউপাতার আদরে মাখা,
সর্ষে ইলিশ, ধনেপাতা ইলিশ, ইলিশ কচু, ইলিশ বেগুন
ইলিশ ভাজার গন্ধে যেন মৃতসঞ্জীবনী,
এই দুঃসময়ের কথা বেমালুম ভুলে পাই বাঁচার প্রেরনা।
সে আমার কাছে পৃথিবীর আর একটা আশ্চর্য!
তবে সে এমনি মহার্ঘ, গরম ভাতে আনতে নিতান্তই অপারগ।
তাই স্বপ্নে করি আবাহন, কথা রাখে করে নিত্য আনাগোনা।


সেদিন শালীর আবদার করেছিল করবে ইলিশ পালং
ইলিশ প্রতিযোগিতায় ছবি পাঠাবে। পাবে পুরস্কার।
কথা রাখতেই হোল। শ্রীমতী'র মুখে ঝিলিক রুপালী হাসি ।
পকেট থেকে জ্যোৎস্না ঝরল। এলো মেঘনার জ্যোৎস্না।
আমার সুপ্ত বাসনার রসনা অবশ্যই তৃপ্ত হোল ;
বহুদিন বিরহের পর প্রেমিক যুগলের মহামিলন হোল।