তখন বুঝিনি এই জীবন এই জন্ম তোমার জন্য;
নির্মল স্বচ্ছ জলে টুপ করে মাথা তুলে আমি ধন্য।
এই প্রভাতের বাঁকা রোদ্দুরে আমি সদ্য সূর্যস্নাতা
তখনো মরমি বাতাস আন্দোলনে আমি অনাঘ্রাতা।
একটু একটু করে বৃন্ত থেকে নিজেকে মেলে ধরা
চোখে মুখে ছিল বিস্ময় বুকেতে বয় আনন্দধারা ।
মাথার উপরে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা
কাঁচ জলে চলে রুপোলী মাছের জলকেলি খেলা।
জলফড়িংটা কোথা থেকে এসে খোঁজ খবর নেয়
আহা ভ্রমর কাছে এসে গুণগুনিয়ে গান শোনায় ।
আনমনা হই বাজে কোথায় ঢাকের সাথে কাঁসর
চিনে নিতে জীবনের ঘাট এইতো ফেলেছি নোঙর ।
কারা এল ডিঙায় চড়ে আমাদের জলকমলের বনে।
একের পরে এক জলকমল করে বৃন্তচ্যুত আপনমনে
বলছে ওরা এফুলগুলি মাতৃঅর্ঘ্য শোভে দেবীর চরণে ।
এখন বুঝেছি মাগো এই জীবন এই জন্ম তোমার জন্য;
এই প্রাণমন সঁপে দিলাম আমি অতিনগণ্য তবু ও ধন্য ।