এখানে ওই যে রাজঘাট নদী ছুঁয়েছে
আজ ওটা প্রায় কালের গভীরে গেছে ।
এখন ওখানে কেউ আসেনা কেউ বসেনা
রাজবাড়ি ঝুলবারান্দা শূন্য পড়ে আছে ।


ওই ঘাটে রোজ এক পাগল এসে বসতো
সারারাত মিঠে সুরে বাঁশি তার বাজাতো;
ঝুলবারান্দায় রানী পাগলের মত যেতো
বাঁশির সুরে গান গেয়ে রাত তার ফুরাতো।


রাজার কাছে সে খবর দ্রুত পৌছে গেল
রাজার হৃদয়ে সেদিন বিদ্যুত্‍ চমকে ছিল !
তড়িঘড়ি করে রাজা অন্দরমহলে এলো
প্রশ্ন শুনে রাণীর অন্তর প্রশমিত হোল ।


রাজাকে বলে সাবলীল স্বরে রানী
রাজা ওই পাগলকে একটু ডেকে দেবে ।
আমি যে অনেক রাত আছি অনিদ্রায়
বাঁশি বাজিয়ে পাগল ঘুম পাড়িয়ে দেবে।


এই ভগ্নস্তুপে যেখানে তুমি দাঁড়িয়ে আছো
এখানেই সেই পাগলকে শুলে চড়ান হোল ।
রাজার রক্ত চক্ষে ছিলনাতো কোন ক্ষমা
নিমেষে রানীর প্রাণ ছিনিয়ে নেওয়া হোল ।


সেই পাগলের বাঁশি আর রাণীর গান
রাজবাড়ির দরবারে রোজ হতো গুঞ্জন ;
তাই শুনে শুনে রাজার ক্ষিপ্ত হোল মন
সেও একদিন গত হল ফুরালো তার দিন ।


কতদিন এখানে আর ভুল করে কেউ আসেনা
ইটের পাঁজরে সে কাহিনী রয়েছে বোনা ।
এখন এখানে বাতাস এসে থমকে যায়
নিঃশব্দে কিছু শ্বাপদের চলে আনাগোনা ।


মনে করোনা এখানেই ছিলাম সমাহিত
আজ এখনি জাগবো ফার্ণের ঝোপ সরিয়ে ;
বাঁশির সুরে তোমার কন্ঠে গান ছড়িয়ে দিও
আমি বাঁশীওয়ালা দেবো রানীর মন ভরিয়ে ।