আমাদের আড্ডা তখন বেশ জমে উঠেছে
সকলের ইচ্ছা ছিল, তর্ক ছিল যথেষ্ট ;
চা না কফি কিম্বা অন্যকোন ঠাণ্ডা পানীয়
অবশ্যই আপত্তি ছিল কারোর কারো ।
গোয়ার ডিসুজার ছিল জোড়ালো প্রতিবাদ,
ঢাকার মইদুলের সাথে হাত মিলিয়ে।
নিখিলেশ দ্বিধা আর দ্বন্দে ভুগছিল।
অমলের কথায় সবাই নড়েচড়ে বসে
হবেনা ...সুজাতা এই আড্ডার স্পন্সরার
রমা রায়ের দুরন্ত সাপোর্টে সব সমাধান।
যত খুশি খাও ফিস কাটলেট আর কফি।


সেদিন সবার অলক্ষ্যে ছিল গৌরি প্রসন্ন।
সাথে সুপর্ণ কান্তি আর মান্না বাবু...
এদের কথা সুর আর গায়কীতে
এই সাতজনের রুপান্তর জীবন্ত ভাস্কর্যে ।
ঠিক যেন নেটরন লেকে সলিল সমাধি।
মমির মতন হয়ে থাকল সারাজীবনের জন্য।


ডিসুজা নতুন সুর গীটারে তোলার চেষ্টা করছে...
মইদুল খবরের কাগজের সংস্কৃতি পাতা খুলেছে...
রমা রায় থিয়েটারের আমন্ত্রন পত্র দিতে চলেছে...
অমল কবিতার পাণ্ডুলিপি সামলাতে ভীষণ ব্যস্ত...
নিখিলেশ কফিতে চুমুক দিয়ে দেখে স্বপ্নের নারী...
তখনই সুজাতার প্রবেশ নাকে হীরের ফুল জ্বলে ওঠে...
আমার হাতের ক্যমেরায় সাদাকাল ছবি ওঠে আসে...