শান্তির নীড়ের ছবি দেখি কবির চোখ দিয়ে ,
চলে যেতে বড় ইচ্ছা সে রাঙা পথ মাড়িয়ে ।
অজয়ের স্বচ্ছ জলে দুদণ্ড নেব গা ভিজিয়ে,
বাঁশির সুরে সুরে নেব অশান্ত মন জুড়িয়ে ।


ও হ্যাঁ মনিমাসির ছেলে বিদেশ থেকে ফিরেছে?
ওকে মানুষ করতে বেচারি, কি না করেছে ;
কি! ফেরেনি, ওর পথ চেয়ে দিনরাত কেটেছে,
মরবার সময় বলেছিল, ছেলে সত্যি মানুষ হয়েছে।


বটের ঝুরিনামা কালিতলা, দিনদুপুরে ছায়া ঘনায়?
কই নাতো? সে সব বুলডোজারে লুপ্ত হয়েছে প্রায়;
নামমাত্র কিছুটা রয়েছে রাজপথ গিলেছে সবটাই ;
পাশের পুকুর ধুঁকছে জঞ্জালে, মরবে জল শূন্যতাই।


বাঁকাকাকার মেয়েটা আসি বলে চলে গেল কোথায়?
ও কমলা! কেউ বলে নাম বদলে দিল্লীতে নিয়েছে ঠাই ;
কেউ বলে কত মানুষ এই বিশ্বে এমনি হারিয়ে যায়,
কাকা তবু আশা রাখে, একদিন মেয়ে ফিরবে এই গাঁয় ।


যাচ্ছি সপরিবারে চোখের দেখা দেখতে আমার জন্মভূমি ।
বাপ ঠাকুরদার সেই ভিটে, শেষবারের মতন চরন চুমি;
আর হয়তো আসা হবে না ছুটি দাও আমার জন্মভূমি ;
বিকিয়েছি যে অন্যের কাছে , আপনপর এখন কর্মভূমি