কালি - (প্রতিবাদী )আমি আর নিজের শরীর নষ্ট করে লেখকদের বিখ্যাত হতে দেবনা।দেবনা দেবনা দেবনা।
কলম - ঠিক বলেছ কালি, রাত নেই দিন নেই কিছু একটা মনে পড়ল কি পড়ল না । অমনি কলম নিয়ে বসে পরলেন বাবুরা । যখন কিছু মাথায় আসেনা তখন দাঁতে কামড়ে শেষ করে দেয় । নয়তো ধুস বলে ছুঁড়ে ফেলে দেয় । বল কার এত সহ্য শক্তি ?
খাতা- তোমরা তাও ছুটি পাও । আমার আর ছুটি নেই । লেখালিখির পর কাটা ছেঁড়া প্রেসে যাওয়া নতুন করে আমায় বইরুপে আবার ছাপা হয় । শুভ উদ্বোধন । এহাত ওহাত হয়ে কারো ঘরে ঠায় । ইচ্ছা হলে পড়ল নয়তো সাড়া জীবনের জন্য আলিমারিতে বন্দী । যেন চুরি করেছি । তাই শাস্তি ।


সমস্বরে - না না না মানবনা মানছি না । লেখকের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও ।


খাতা - ( হটাত থেমে ) দাঁড়াও বন্ধুরা আমরা বোধ হয় ভুল করছি , আছি ভুল ভাবনাতে।
কালি - কেন তুমি জ্বলছে কেন?  তুমি রাজার হালে থাক । তোমার নামে পুরস্কার মেলে!
কলম - ঠিকই তো ! তোমাকে ঘিরে উৎসব হয়। বইমেলা উৎসব ! তোমার সাথে আমাদের তুলনা ! হুম আমাদের খোঁজ কে রাখে ?
কালি -এক্কেবারে ঠিক বলেছ কলম । জান, একবার মাঝরাতে  ফুরিয়ে গেছি বলে, ফেলে দিচ্ছিল হটাত কি মনে করে দেশলাই জ্বালিয়ে ঠিক প্রয়োজনীয় কাজটুকু সেরে নিল লেখক মশাই । রাগে দুঃখে যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠলাম কেউ শুনল আমার ব্যথা ।
কলম - চল ভাই কালি তুই আমি যায় চলে যেথা আমাদের দুচোখ যায় । খাতা আমাদের সাথে থাকবেনা ।
খাতা- দেখো কালি কলম একটা কথা বুঝে নাও তোমরা আছো তাই আমার অস্তিত্ব আছে । নতুবা আমায় কে চিনতো । তোমরাও মানবে মেনে নাও। আমরা একসাথে আছি যুগে যুগে কালে কালে। আমরা ছিলাম বলে এই পৃথিবীর ইতিহাস রচিত হয়েছে । লেখা হয়েছে মহাকাব্য । শিক্ষা সংস্কৃতি আমাদের ছাড়া অচল । তোমরা আমার হাতে হাতে রাখো । একসাথে মিলিত হয়ে প্রতিবাদ জানায় । কিন্ত কাজ থামতে দিলে চলবে না । তোমরা কথা দাও কখন একে অপরকে ছাড়া চলবার চেষ্টা করবেনা । আমরাই লিখব আমাদের নিয়ে মহাকাব্য । নাম দেব কালি কলম খাতা জিন্দাবাদ ।