খাম খুলে তন্ন তন্ন করে দেখি চিঠি নেই । আছে একরাশ ছবি। পর পর সাজালে হয়তো একটা চিঠি হবে । আমি শুধু চেষ্টা করলাম। সার্থক তোমার ভাবনা।  তোমার ছবিগুলো হয়ে গেল এবার আমার খোলা চিঠি ।


প্রিয় – তাল তমাল
         তোমার চোখ দিয়ে দেখে নিচ্ছি, আমার দেশ আমার ভাল লাগা পরিবেশ পরিমণ্ডল । অজানা অচেনা শুখা এক বিরহী নদী , অজানার হাতছানিতে পাহাড়ের আমন্ত্রন উপেক্ষা করে সাগর পাড়ি দিচ্ছিল। পাহাড় প্রতিশোধ নিয়েছে।  
         শালের বৃক্ষ এই বুকেতে জাগিয়ে দিয়েছে ফুলেল অভ্যর্থনা। আর ঐ বনানী পরিবৃত নেশাধরা সরণি কিছু তো বলছেই । কি আসবে নাকি?  যাবে নাকি ঐ দূরে... যেখানে পথ গিয়েছে মিশে...। নীল আকাশের সাথে কথা বলতে । ভাবছি ওদের সাথে একান্তে কিছু কথা বলে নেব; তুমি থাকবে ওরা থাকবে আর থাকবে এই জীবজগৎ। নদীর সাথে বলব কিছু  এক্তান্ত ব্যক্তিগত কথা ওর যে প্রেমিক কেন যে ওকে পাওয়া না পাওয়ায় দুঃখ বাড়ায়। থাকতেই পারে সারাটা বছর ফুল্লরার বারমাস্যার কাহিনীর মতন।
          যে সাঁকোটা বর্ষায় ভরসা জাগায় সে কেন এতো অবহেলা পায়। যে হলুদ বুনফুল গুলো একসাথে ফুটে হালকা বাতাসে দুলে সান্তালি নাচে মন ভরিয়ে দিল। ওদের জন্য অনেক ভালবাসা থাকল। ওদের সাথে মিশে যেতে মন চাইছিল। আরও অনেকের কথা ছিল।
         এবার মনে হচ্চে থামার প্রয়োজন, নইলে ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে


ইতি – তোমার মৃত্তিকা


আলিপুর দুয়ার
০৭/০৭/২০২১