হ্যংলা দুগ্গা


        
            শরতের কাছ থেকে চিঠি পেলাম। তুই নাকি এবারেও এই বানভাসি অসুখের দেশে আবার আসছিস। বছর বছর ছেলেপুলে নিয়ে বাপের বাড়ি না আসলেই নয়। তুই আসলেই গ্রাম শহর নগর বন্দরে হৈ হৈ রৈ রৈ চারদিকে ঘটা করে সব আলো সাজগোজ শুরু হয়ে যায়। তুই তো জানিস আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায়। শিউলি আর কাশ ( মানে আকাশ) বলছিল বাড়ি ফিরবে খুব তাড়াতাড়ি । ফিরলনা, সরাসরি বলেই দিল তোর সাথেই ষষ্ঠীর দিন আসবে। ওদের শহরে নাকি মালিকদের কাজের খুব চাপ। প্রায় ১৮ ঘণ্টা কাজের ফিরিস্তি। তার মধ্যে আমার কাজটাও চলে গেছে। দিন যে কেমন যাচ্ছে আমিই জানি ।
         দুগ্গা তোর নাকি বায়নাক্কা বেড়েছে। এটা লাগবে ওটা লাগবে চারদিনের ব্যপার আগের মতন আমরা কি আর পারি! আমার ফুলের মতন শিউলি আর আকাশ কেমন অল্প বয়েসে খাটতে খাটতে বুড়িয়ে গেছে দেখলে খারাপ লাগে। চারদিন পর চলে যাবি অসুখের পরিমান ও বাড়বে। আমরা আবার যেই অন্ধকারে ছিলাম সেই অন্ধকারেই থাকব।
          অবশ্য বছর ঘুরে আসলে ভালই লাগে। এইটুকুই আনন্দ তোকে ঘিরে করতে পারি। যাকগে সবাই মিলে থাকি । যে যেরকম পারি তোর সেবা করি। মনে কিছু করিস না । রাগ অভিমান মাঝে মাঝে জমা হয় পাহাড়ের মতন বলে ফেলি। একটু হালকা লাগে সবটাই তুই  জানিস বুঝিস, তবু.... ভালো থাকিস।


ইতি তোর - পৃথ্বী