বুড়ির জন্য--


        অনেক কদিন ধরেই মনে হচ্চিল তোকে একটা চিঠি লিখি... হয়নি... আজ হয়েছে... । জানলার ওপারে ফ্যকাশে চাঁদের আলো আর একঘেয়ে  বেহালার করুণস্বরে ঝিঁঝিঁর  বৃন্দবাদন ।  ঘরের আলো আজ আর জ্বলবেনা। মাঝে মাঝে কয়েকটা জোনাকি এসে উঁকি দিয়ে দেখে যাচ্ছে আমি ঘুমিয়েছি কিনা? মুঠোফোনে তোর আবদার এসেছে চিঠি লিখতে হবে তাই রাত জাগছি।
       হটাত মনে পড়ল আমার মাধ্যমিকে প্রথম যেদিন পরীক্ষা বুক পকেটে কি যেন জোর করে রেখেদিলি। মুখে আঙ্গুল দিয়ে বললি- চুপ কেউ যেন জানতে না পারে। পরীক্ষা শুরুর আগে খুলবি মনে থাকবে। যথারীতি আমি ভুলে গেছিলাম বাড়ি ফেরার সময় মনে পড়তেই খুলে দেখি সাদাখামের ভিতর জবার ফুল আর ৫০০ টাকার নোট ! পরে জানতে পেরেছি ওই টাকার জন্য তুই অনেক মার খেয়েছিস। চোর বদনাম ও নিয়েছিস। কেন বলত আমিও বুঝিনি বুঝলাম যখন তুই অন্য কারোর হয়ে গেলি। আমার চেয়ে তুই বড় তাই আমার ভালবাসার কোন দাম দিলিনা, তাইনা? আমি বলেছিলাম – আমি তোকে খুব ভালবাসি।  তুই বললি - ধ্যুত তাই আবার হয় নাকি? লোকে কি বলবে।‘ আমার সবুজ অবুঝ হৃদয় মাটিতে পরে গিয়ে খানখান হয়ে গেল। যাবার সময় বলেছিলিস চিঠি লিখিস; অভিমানে লেখা হয়ে ওঠেনি...।  আজ মনে হোল লিখি যদি ও জানি এই চিঠি তোর কাছে কোনদিন ও পৌঁছাবেনা ।
      পুনঃ   বুড়ি, আমি কিন্ত তোর এইভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারিনি।


ইতি –