কি সুন্দর!
অকপট একটা নিস্পাপ প্রেমের দলিল
ভিজে যাওয়া কাব্যের আনাচে কানাচে।
তোমার গভীর মেঘের মতন কালো এলোচুল...
আকাশের বৃষ্টি কী নিষ্ঠুরভাবে ভিজিয়ে দিচ্ছিল।
এই দৃশ্য দেখাবার জন্য
তুমিও ছিলে চাতকের মতন ব্যাকুল।
তাই বুঝি অমন সহজপাঠের শিশুর মতন
উলঙ্গ হাত পেতে ধরতে চায়ছিলে প্রতি বৃষ্টিকণা।
আমায় কী তুমি আহ্বান করছিলে?
নাকি আগুন ছড়িয়ে দাবানল চাইছিলে।
আমি হতেই পারতাম তখন তোমার মনের মতন।
কিন্তু হলাম না ! উল্টোটা হয়ে গেল নন্দিনী
সেই মুহূর্তে আমার নিজেকে মনে হচ্ছিল
আমি বুঝি হিংসুটে এক খলনায়ক।


আসলে, আমার কি দোষ বল!
অমন করে একঢাল কালোচুলে
হারিয়ে যাবার বাসনা যে নিতান্ত আমার।
তোমার ফুলের মতন কামিনীর ঘ্রান
সেতো আমারই একান্ত প্রাপ্য।
তোমার ধনুকের মতন অমন টানটান ঠোঁট
বৃষ্টিতে ভিজে ক্রমশ রসালো হয়ে উঠছিল।
সময় তখন প্রাপ্তবয়স্ক...
একমনে তারস্বরে কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে চলেছে।
অকালবোধনে ঘুমন্ত কুম্ভকর্ণ জাগায়।
তোমার শরীরের উপত্যকায় কত যে বৃষ্টিধারা
ইচ্ছা করে হারিয়ে গেল কে জানে?
আশ্চর্য, ওরা কেউ নদী হতে চায়না।
সবাই আমারই মতন হারিয়ে যেতে চাই।
মিলিয়ে যেতে চায়, ফুরিয়ে যেতে চায়।
আমি কি করব বল নন্দিনী?
তোমার জন্য আমি এখন একটা খলনায়ক।



* আজকের কবিতা কবি অনিমেশ দাশের সৌজন্যে পেশ করা হল।
কবির আজ জন্মদিন রইলো রক্তিম শুভেচ্ছা ।