রাজার যে ছিল প্রবল স্বর্ণতৃষ্ণা
তাই সে ঈশ্বরের কাছে করে প্রার্থনা ।
দিন যায় মাস যায় বছর ঘুরে যায় ।
ইশ্বর রাজার তপস্যাতে মৃদু হেসে বলে ,
বত্স ওরে কিসের তরে এ কঠিন তপস্যা ?
দুর্বল শরীরে ক্ষীন কন্ঠে রাজা কহে -
স্বর্ণ আমার কামনা স্বর্ণ আমার বাসনা
স্বর্ণ শরীরে জাগায় অদ্ভূত এক উন্মাদনা ।
বেশ বেশ তবে তুমি কি বর চাও ?
রাজা বলে - এ জীবন ধন্য করতে চাই
আমাকে তাই বরদান এখনি করুন এই
যাহা পরশ করিব তাহায় যেন স্বর্ণ হয় ।
তথাস্তু বলে ঈশ্বর তখনি হয় অন্তর্ধান ।


পরদিন সকালে বরপ্রাপ্ত রাজা আনন্দ চিত্তে ,
একে একে হাতের পরশে স্বর্ণপ্রাসাদ গড়ে ।
দিন যায় সূর্য্য তখন পাটে বড় খিদে উদরে ,
প্রস্তুত হয় থালাভরা খাবার আর টলমলে জল।
হাতে পরশে সে জল নিমেষে হয় তরল সোনা ।
রাজা হা হা করে হেসে বলে হয়েছে মনস্কাম ।
রাজার ভয়ন্কর হাসিতে ছুটে আসে তাঁর মেয়ে
শোনেনা সে রাজার বারণ বুকে ঝাঁপ দেয় মেয়ে
রাজার বুকে তখনি একতাল কনক বরণ স্বর্ণ মেয়ে ।
রাজা দিশাহারা চিত্কারে কহে ফিরিয়ে নাও এ বর ।


ক্ষমতালোভী এমনি কেউ কেউ আসছে এখন দুয়ারে
দাও দাও বলে কৃপা ভিক্ষা করে গরিবের ভাঙ্গা কুটিরে।
ক্ষমতা পেতে এরাও রাত কে বলে আহা কি সুন্দর দিন
এসে গেছে সেই দিন এদের কে চিনে নেবার সে দিন ।