যেতে যেতে দেখি পাশের মানুষটা নেই ।
বদলে রয়ে গেছে একাকীত্বের অন্ধকার।
আর ছোপ ছোপ বিরহী কুয়াশা
সময়ের ঘড়িটা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে
হলুদ বিকেলের মতন হাসির মুখচ্ছবি...


থেকে থেকেই মনে পড়ে বসন্তদিন
নানান ফুলের গাছে বাগান সাজিয়ে ছিলে ;
পাখীরা আসতো, ভ্রমর, প্রজাপতি
ঝর্ণার সুর ছন্দে গান গেয়ে শোনাতে
মুগ্ধ হয়ে সকাল থমকে যেত ...


সয়ে সয়ে একটা অসুখ বন্ধুর মতন ছিল;
ব্যথা দিত, চোখের জল এনে দিত।
পাঁচিলের ওপারের নিয়ে যাবার ডাক দিত;
তুমি ছলনার হাসিতে সব নস্যাৎ করতে।
তখন চোখের জল মনে হত আনন্দাশ্রু...


বয়ে বয়ে শরীর হয়ে যেত ক্লান্ত দুপুর;
তবুও বাগানের গাছেদের যত্ন করতে;
দখিনা বাতাস কিছুতেই যেন টের পেতনা,
যে ভালবাসার নদী হয়েছে মরুভুমি।
এখন মানুষটা ঘুমিয়ে গেছে পরমশান্তিতে।


কবিরা কোনদিন মরেনা
কবিরা জেগে থাকে জাগিয়ে রাখে ।
ফুলের গন্ধের মতন হৃদয়ে বেঁচে থাকে
আর চোখের নিস্পাপ জলে সাঁতার দিতে থাকে।



*কবি শহিদ খাঁন-এর অকাল প্রয়াণে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।