আজ নাকি বিশেষ দিন! না কিছু মনে আসছে না ,
সেইজন্য বৌদি বলেছে অবশ্যই তাড়াতাড়ি যেতে।
ব্যাগে ছাতা বোতলে মৃতসঞ্জীবনী কিছু টুকিটাকি,
মাঝে মাঝে দিদি বৌদিদের পুলিশী পর্যবেক্ষণ।
লক্ষী প্রায় দৌড়ে হাঁপিয়ে আগের ট্রেনটা পেল;
রাত এখনো বাকি, আজ বোনটার পরীক্ষা শুরু,
কাল ভাইটার গায়ে ছিল লালগোটা সাথে ধুম জ্বর ।


আজ ভিড়ের ভিতর চেনামুখ একটাও সে দেখছেনা !
এতোটা রাস্তা একটু বসতে পারলে বেশ ভাল হতো;
কোমরটা হটাত টনটন করে পেটের ভিতরে মোচড়।
মরেছে কি হবে! সেই মাসে মাসে একঘেয়ে যন্ত্রনা !
রাতের বাকি ঘুম সকলে ট্রেনের কামরাতেই সারে।
কারোর ব্যথা যন্ত্রনাতে ওদের কোনো হুশ থাকেনা।
ঠিক যেমন হুশ হুশ করে ট্রেন নিজ গন্তব্যে ছুটে যায় ।


একজন সিট্ ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলে-এখানটাতে বসুন।
এমনটা সচরাচর কেউ করেনা, লক্ষীর মন ভালো হয় ।
বৌদির সব ফাইফরমাশ শেষে তাড়াতাড়ি ছুটি চায়তেই
ঝামটায় বৌদি বলে - প্রেসের লোকজন আসবে ছুটি নয়।
আজ ঠাকুরঘরে জোর করে সে কাজ করতে বাধ্য হয়েছে।
কাপড়টা পাল্টানোর দরকার ছিল, বলার সাহস হলোনা ।
প্রেসের লোক এলো ওদের ভিতর একজন যেন খুব চেনা ;


সেই মানুষটা যে বসতে দিয়েছিল মুখে ছড়ানো দিগন্ত হাসি
হাতে চেনা প্যাকেট আর একটা নতুন শাড়ি সে এগিয়ে দেয় ।
আজ 'নারী দিবস' এটা গ্রহণ করুন,আমার খুব ভাল লাগবে,
এই মুহুর্তে আপনার প্রয়োজন;লক্ষীর মুখ কোজাগরী পূর্নিমা।