লাবন্য, জানো প্রতিদিন এক বন্ধুকে অন্ধকার ঘর থেকে ওরা নিয়ে গেছে;
তারপর একটা বুলেট খরচ একটা আর্তনাদ! ওরা কেউ ফিরে আসেনি।
প্রতিমুহুর্তে মনে হয় কেন যে বেঁচে আছি? এই বেঁচে থাকার অর্থ কি?
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মেরেই মরব, আশ্চর্য আজও আমার ডাক পড়েনি।


অরণ্য,মাতৃত্বকালীন ছুটির অনুমতি চাইতেই কাজের পরিবেশ যুদ্ধকালীন;
অস্থির মুখগুলোতে কত প্রশ্ন কুমারী মাতা! শেষে দিলাম কাগুজে প্রমান।
একধরনের জেদে এঁকে ফেললাম লক্ষণরেখা। সেই গন্ডিতে তখন আমরা;
পৃথিবীর প্রশ্নের জবাব দিতে প্রস্তুত, তোমার আমার ঋতমা নয়তো ঋতবান।


ক্রোধের আগুন জমিয়ে জমিয়ে আমি এখন ভীষণ ভয়ঙ্কর আগ্নেয়গিরি!
যেকোনো মুহুর্তে শত্রু-শিবিরে আছড়ে পড়তে পারি দাউদাউ দাবানল হয়ে।
ডাক পড়েছে আমার; গুলিটা লক্ষ্যভ্রষ্ট, এই সুযোগ খ্যাপা চিতার মত,
নিমেষে অস্ত্রটা কেড়ে রক্ত ঝরালাম, শত্রুর বুলেট লাগে বাম পায়ে...


অরণ্য, আমি জানি তুমি পারবে, একদিন মর্যাদায় তুমি ফিরে আসবে;
আমিও লড়ে যাচ্ছি এগিয়ে যাচ্ছি স্থির পদক্ষেপে, বাড়ি স্কুলে হাসপাতালে।
তোমার আমার এক বৃষ্টি রাতের ভালবাসা ফসল পরিপূর্ণতা পাবে বসন্ত,
অনির্বান বসন্ত অপেক্ষায় বন্ধুর মতন সাথে থাকতে চায় ঝড় বৃষ্টি জলে।