কালবৈশাখী এক ঝড়ে এসেছিল
মা মেয়ের সম্পর্ক ঘুচে গিয়েছিল।
কুমারী মেয়ে মাকে বলেছিল দাবিয়ে  
খাঁচার পাখীটা দাওনা আকাশে উড়িয়ে।
ঘরে বন্দী অবস্থায় থাকা যে কি যন্ত্রণা
এখন এই কঠিন সময়ে বুঝতে কি পারছনা?
দাও পাখীটাকে আকাশে উড়িয়ে,
ডানা মেলে যাক উড়ে যাক মেঘটাকে সরিয়ে ।
মা চোখ বড় বড় করে বলেছিল রাগেতে,
ডাকলেই উড়ে যেতে নেই দূরের আকাশেতে।
দীর্ঘদিনে পাখির ডানায় নেই সেই আর গতি;
উড়বে কি করে? কাকের ঠোকরে জীবনের যে ক্ষতি।
বরং থাকনা ,নেইতো বায়না, পুরনো পোষা ময়না।
পায় দানা পানি খাঁচাতেই ও থাকনা।


একদিন ঘরে ফিরে মা অবাক হয়ে যায়,
শূন্য খাঁচা খালি পরে, নেই পোষা ময়না হায়।
মা ছুটে যায় মেয়ের ঘরে, শুন্য মেয়ের ঘর ।
সোমত্ত মেয়ে কিচ্ছুনা বলে ঘর করেছে পর ।
মায়ের চোখে জল, ঝড়ে যায় অবিরল ।
কিছু পরে পোষা ময়না মা মা বলে ফিরল;
ঠুকরে খাওয়া শরীরে তাঁর রক্ত ঝরে যায়,
মা যে তাকে আদর করে কাছে ডেকে নেয়।


রাত ফুরিয়ে মেয়েটা, ঘরে ফিরল অবশেষে
সরেজমিনে ধরা পড়ে মেয়ের যন্ত্রণা, অবিন্যস্ত বেশে।
দামী মুঠোফোন মেয়ের হাতে ঝকঝক করে ঝলসায়;
মেয়ের চোখে কান্না, মিথ্যে হাসিতে ঢাকতে চায়।
কপট রাগ দেখিয়ে মা মেয়েকে জড়িয়ে কেঁদে বলে-
বলেছিলুম না উড়তে নেই, আকাশ হঠাৎ ডাকলে ।