সকালে আমি যা এনে দিই
বিকালে সব ফিরিয়ে দিস।
বুড়ি এমন কেন করিস বলতো ?
এই যে আমার সাথে রাত দিন
কাঁঠালের আঠার মত কেন লেগে থাকিস?
এর অর্থ আমি আমার মতন করে বুঝি
তুই কি আমার মতন এমনি করেই বুঝিস।
জবাব কেন দিসনা ?
মাথা নিচু করে আঙ্গুল দিয়ে মাটি খুঁটিস,
চোখে তখন মরীচিকার মতন জলের রেখা।
আর তখনই চোখে বালি পড়বে,
খেলা ছেড়ে দৌড়ে বাড়ি যাস।


এই তো সেদিন বারোভূতের মেলা থেকে
কাঁচের চুড়ি আর রঙিন ফিতে এনে দিলাম।
পরের দিন সব ফিরিয়ে দিলি।
শালের বন থেকে বৈঁচির মালা এনে দিলাম
বৃষ্টির দিনে তোর প্রিয় ফুল কদম এনে দিলাম।
পরের দিন সব সব ফিরিয়ে দিলি ... কেন?
বলেছিলি একদিন সব নেব কিচ্ছু ফেরাবনা।


একদিন লুকিয়ে বাঁধের ধারে দেখা করবি বললি।
আমি বললাম কেনরে ? বাঁধের ধারে কেন?
বললি আমি এখন বড় হয়েছি ;
বুড়ি হাসালি রে তুই কি মা ঠাকুমা হয়ে গেছিস।
আর কে কি বলবে ... আমি দেখে নেব বুঝে নেব।


সন্ধ্যের মুখে বাঁধের ধারে তুই এক্কেবারে অচেনা
কাছে এসে বললি দেবদা চিনতে পারছনা আমি বুড়ি;
তোমার কাছ থেকে শুধু নিয়ে গেছি দিয়নি কিছু
উজার করে দিতে এসেছি একরাশ ভালবাসা।
কাল থেকে আমি অন্যকারোর হয়ে যাব;
এতদিনের ভালবাসা সব ফিরিয়ে দিতে ।
বুড়ি তোর গলা কাঁপছে ? চুপ কর
তুই কথা দিয়েছিলি একদিন আমার সব নিবি,
     সেদিন আমায় মিথ্যে বলেছিলিস তাইনা?