এসো মা দূর্গা থাকো অঙ্গন জুড়ে
দেখছ'না ঢাক বাজছে,শুনছ'না শঙ্খ বাজছে
ঘোমটায় কলাবউ, পঞ্চপ্রদীপ জ্বলছে  
ধুপের গন্ধে চারিদিক মাতোয়ারা।
হাসি হাসি মুখে তুমি আমি আমরা ।


কিন্ত সেন বাড়ি সব দরজা জানালা বন্ধ;
ওই বাড়ির মেয়েটা নাকি থাকে দিল্লীতে ।
জানো ঠাকুরের দাম নাকি সেই দিয়েছে!
অনেক দিন পরে সে কাল বাড়ি এসেছে ।
বাড়িতে ঝাড়বাতি জ্বলবার কথা ছিল ।
কে বা কারা অঘোষিত নির্দেশ দিয়েছে...
ও যেন মন্ডপে না আসে । ও যে অশুচি !


নিঃশব্দে এক রায় বাড়ির খিড়কি খুলে গেল
চুপি চুপি মা যেন সন্তানকে বলছে -
বাবু, তুই আর এ বাড়িতে কখনো আসবিনা ।
তোর বাবা চায়না, বোনটার যে বিয়ে হবেনা ।
মিথ্যে বলতে হয়, যে ছেলেটা নিরুদ্দেশ !
আমি তো মা! আমি কাঁদতে ও পারিনা!
কি করে বলব যে ছেলেটা নাম পাল্টেছে;
ছিল অনিন্দ এখন সে হয়ে গেছে অনিন্দিতা ।
ওই বুঝি কেউ আসছে যাহ চলে যা...!!!


এরপরে ও তোমার প্রসন্ন মুখ দেখে গর্ব হয়।
তুমি তো মা সকলের মঙ্গলকারিনী মঙ্গলময়ী।