আমাদের ঘরের চিত্র কখনো বদলায় না
বদলে যায় মুখ মুখোশ, আদব কায়দা জানা অজানা;
মশা মাছিরা ভন ভন করে। ভুলেও প্রভাতী গায় না।
আমাদের ঘরে জল পড়ে, উপুড় হয় চাঁদ সুখের বিছানা।
কাল আবার চলে যাব পশ্চিমে, প্রিয়ার চোখে জল শুখা নদী।
অসহায় মাতাপিতার ঘষা কাঁচের চশমা ।
সজনের পাতা ফুরিয়েছে, পেটের খিদে বেড়েছে দ্বিগুন...


দিন পাল্টাতে স্বদেশে আসা
মনের কোনে ছিল এইটুকু আশা।
হয়তো বদলে দিতে ও পারে আষাঢ়ের মেঘ;
বৃষ্টিই তো ছেয়েছিলাম। মনুষ্যকৃত খরা কে চায়?
আমাদের জন্য নাকি বিশাল এই পৃথিবী!
এত্ত কিছু আছে এই পৃথিবীময়
শেষ নাকি হবেনা সাত জনমেও।
এখন সার বুঝে গেছি। যত সুখ সব ওপারের
দুঃখের বোঝা ক্ষয় করবার দায় আমাদের।


তাই ঘরের চিত্র অশনি সঙ্কেত
যদিও বাজারে সে চিত্রই কালবাজারে বিকোয় ।
আমাদের চোখের জল মুক্তো হলে
অলঙ্কারে সেই মুক্তোই চোখ ঝলসায় বেশি।
কাঙালপনা দেখিয়ে বিশ্বের দরবারে স্বস্তি পায়।
একদিন তো এসবের অবসান হবেই
মৃত্যুতে নাকি মুক্তিতে!