রাত গভীর
ঝনঝন করে বেজে গেল মুঠোফোন
নামহীন তায় তর্জনীর ছোঁয়ায় স্তব্দ;
দ্বিতীয়বার বিরক্ত হয়ে আবার আঙুল
তৃতীয় বার কি মনে করে কানে রাখি ।
ভয় সন্ত্রস্ত্র নারীকন্ঠে অনর্গল বলে চলেছে-


''আপনার কাছে আমি অপরিচিত বটে
কিন্ত আপনি আমার ভীষণ রকম পরিচিত।
আমার এই হতচকিত হাহুতাশ মুহুর্তে
আপনার বুদ্ধিদীপ্ত মুখ ভেসে উঠলো ।
ফোন বিচ্ছিন্ন করে হতাশ করবেন না ।
খুব একটা বেশি সময় আপনার নেবনা
ধীরে হারিয়ে যাব মোমের বাতির মতন ।


কোনঠাসা হতে হতে
আমি এখন আগুনশিখা হয়ে গেছি ;
কালবৈশাখী ঝড়ে উত্পাটিত শিকড়ে
ধরাশায়ী।দাঁতে দাঁত রেখে দাঁড়িয়েছি
শেষবারের জন্য, আমাতে এত শক্তি ছিল ।
মুখোমুখী শরীর খেকো এক শকুনের সম্মুখে
নিমেষে দুহাত দিয়ে দুটো পায়ে হ্যাঁচকা টান
শরীর খুবলানো পুরুষটা এখন পায়ের তলায়,
সশব্দে তার মাথাটা মেঝেতে পড়তেই
তীব্র আর্তনাদ। প্রবল ঝাকুনির পর শরীরটা স্তব্দ ।
চকিতে আলো এসে দুচোখ ধাঁধিয়ে গেল ;
পরক্ষণে চিত্কার করে কেঁদে উঠি
আত্মগ্লানীতে বুঝি এ আমি কি করেছি ।
রক্তাক্ত মেঝেতে এক শ্মশান হাহাকার ।


আমার নিরব ভালবাসার কাছে ব্যক্ত করে  
প্রজাপতি ডানায় উড়ে গেলাম সুদূরে।
ভাববেন নিছক দুর্ঘটনা, নাহয় দুঃস্বপ্ন
     ভালো থাকবেন  ।''