হারিয়ে গিয়েও হারিয়ে যাওনি;
              কেন বলতো ?
হটাত হটাত এসে সব ওলটপালট করে দাও ;
      একটুতেই খুব রেগে যাও!
      কোথায় যে চলে যাও জানিনা ।
দীর্ঘদিন দেখা নেই , প্রায় যখন ভুলতে বসেছি ;
ঠিক তখন বৈশাখী ঝড়ের মতো উদয় হও ;
নিথর পাথর হয়ে সবটা করি অবলোকন ;
ভিতরে ভিতরে উদ্ভুত হয় উদোম হাসি ;
যদি ও তা প্রকাশ করা যাবেনা মোটেই ;
উল্টো বুঝে আবার মেতে উঠবে ধংসলীলায় ;
তখন আর নিস্তার নেই এই বিশ্ব প্রকৃতির ;
তখন আমরা সবাই তোমার হাতের ক্রীড়ণক;
বাঁধ ভাঙবে গাছ উপড়াবে ভ্রুকুটিতে বজ্র হানবে
ঐতিহাসিক সুনামিতে করবে আকাশ অন্ধকার ;
       নিমেষেই পৃথিবী যেন সৃষ্টির আদিকালে ।
শান্ত হও প্রিয়ে, আপন ক্রোধ ধীরে করো সংবরণ
ফিরিয়ে দাও শস্যশ্যামলা পৃথিবী কোমল করস্পর্শে
মাটির বুকে আনো ফসল তার বুকে এনে দাও মধু ;
ছোট্ট উদোম ছেলেটা বুকে মুখ লুকিয়ে বলবে
''মা কতদিন আমি অভুক্ত আছি দাও খেতে দাও ''
তখন উগ্রমূর্তি থাকবেনা, চিন্ময়ী মা হয়ে ধরা পড়বে ।
এক বুক ইচ্ছা নিয়ে নিশীথ জোছনায় আমিও অপেক্ষায় ।
দুচোখ ভরে দেখব মোমের মতো চাঁদ গলে গলে যাওয়া।