আজ শতাব্দীর ডাক শুনেছি
যেতে হবে ! ডাকে সাড়া দিয়েছি ...আসছি
বুড়ীর কথা বেশ স্পষ্ট আড়াল থেকে শুনছি ।


বৃষ্টি ভেজা খড়ের ঘর থেকে পানি পড়ছে মাটিতে।
সেখানে আনমনে পানির একটা বৃত্ত আঁকা দেখি ।
যেন সে বলছে যেওনা পেড়িয়ে এ লক্ষণরেখা ;


রাতে ঝড় এসেছিল, আমের বোল ঝরে গেছে
ফুলভরা সজনের ডাল ভেঙে পড়ে আছে ।
উঠানের আখাটা রেহায় পায়নি তাণ্ডব থেকে ।


বুড়ি বলে - আমার নকশিটা রোদ্দুরে দিও;
দুদিন পড়ে সত্যি ঝলমলে রোদ উঠেছে ।
ওটা একসময় বাহারি নকশিকাঁথা ছিল ।
দাদাঠাকুর ঢাকা থাকতেন উনিই দিয়েছেন ।
পাড়াপড়শি দেখতে আসত - কই দেখি তোমার...
এখন আর তাঁর সে গুমোর নেই ।
হটাত বুড়ি ককিয়ে উঠে বলল -
আমার নকশীটা দাওনা গায়ে ছড়িয়ে;
বোধ হয় কাঁপিয়ে জ্বর এল, খুব ঠাণ্ডা লাগছে ।
না না ডাক্তার নয় , এ আমার সুখের যাওয়া।
        মুখে রেখে মিষ্টি হাসি বুড়ি চলে গেল ।