নন্দিনী
তোমার জন্য, জানিনা কতগুলো ভালবাসা পত্র লিখেছি ;
কতগুলো নতুন শব্দ চয়ন করেছি পৃথিবীর পাঠশালা থেকে।
বাবুই যত্নে বাসা বোনার মুহুর্তের মতন ভাবনারা জড়ো হয় ।
ঝড়েতে খেজুর পাতায় দুলতে থাকা বাসা যেন যুঝতে পারে।
               তোমার দুচোখ জুড়ে এমনি এক অদৃশ্য বাঁধন ।
নন্দিনী
এই দেখো ঝুপ করে কেমন সন্ধ্যে হয়ে গেল;
সন্ধ্যামণিরা টুপ টুপ করে কেমন একে একে ফুটে উঠলো ।
দোলনচাঁপাও দুলতে দুলতে স্বপ্নের পাঁপড়ি মেলে দিল ।
জোনাকীরা এখানে ওখানে আলো জ্বেলে ফিরতে লাগলো ।
তুমি ও এলে, ছায়া মেখে সারা শরীরে তারার আলো নিয়ে ।
           গন্ধরাজ লেবুর গন্ধের মতো কেমন নেশা লাগে ।


নন্দিনী
চাঁদনী রাতের চন্দ্রমাও ফিকে হয় তোমার মুখ ছবিতে;
শুকতারার থেকে উজ্জ্বল হয় কেন তোমার নাকের ফুল ?
আলোকরশ্মি কোন সুদুর থেকে উড়ে এল ওড়না হতে।
এমন পা ফেলে হেঁটে যাও মনে হয় দেমাকি প্রজাপতি।
      দেখেও না দেখার ভানে চলে যাও মনের গভীরে ।


নন্দিনী
একরাশ চিঠির স্তুপের ভিতর জমে পাথর হয়ে গেছি ;
পত্র গুলো নীলখামে ভরে কোনদিনও তোমাকে পাঠাইনি ।
তোমার ঠিকানাই জানিনা, কবে যে বলবে সেটাও জানিনা।
তোমার ডাকবাক্সে কোনদিনই ওরা পৌঁছাতে পারবেনা ।
তাতে তোমার কোন দায় নেয় । ভালবাসি আমি,তুমি নও।
          তোমার জন্য এক সমুদ্র অপেক্ষায় থাকব ।