এখনও কি তুই তেমনি যেমন আগে ছিলি !
ঘরে এসেছিস আর আমি তোকে না দেখার ভান করেছি ।
বাপরে বাপ... আমার ঘাড়ে জানি একটাই মাথা ।
তুই এসে যাওয়া মানে একটা ভীষণ ঝড়।
নাগাড়ে একটানা বৃষ্টির রিমঝিম বকবকম,
কে কেমন করে চেয়ে দেখল, কে কি বলল ?
ওর কি এটা বলা উচিত ছিল ? এক আকাশ প্রশ্ন ।
সন্দীপন কেন দোলার সাথে নাটক দেখতে গেল?
একবার কেন আমাকে ও বলল না ।
        তাহলে আমিওতো যেতে পারতাম ।
দোলা কি আমার চেয়ে ভাল বোঝে সন্দীপনকে!
চোখের সামনে দিয়ে হাত ধরে দুজনে চলে গেল ।
      আমাকে যেন ওরা দেখতেই পেলনা ।
ব্যগটা ইচ্ছা করে ফেলেছিলাম দৃষ্টি আকর্ষণ করতে;
     জানতাম ও আমাকে দেখবেনা কিচ্ছু বলবেনা ।
পরের দিন কত গল্প। ওরা কি করল। কি নাটক দেখল ;
নাটক শেষে বাড়ি ফিরল হাত ধরে,বৃষ্টি ভেজা হয়ে ।
      তুই বল আমি কি করে এতটা সহ্য করি ।
বুকের ভেতরে সুনামির মতো কান্না ঠেলে চোখে আসছিল ।
সটান চলে এসেছি তোর কাছে। সব বলে হালকা হতে চাই ।
    তুই না যদি শুনিস এই মুহুর্তে নিজেকে হারিয়ে ফেলব ।


একপ্রস্থ হাসি হেসে বললাম- জানিসতো তোদের মতো আমি নই।
এখানে ওখানে যাবার ইচ্ছা থাকলে, ইচ্ছা দমন করে থাকতে হয় ;
কবিতার খাতা , বই গান ছবি আঁকা  আর ঐযে ক্রাচ নিত্য সাথী !
জানিতো সন্দীপনকে তুই খুব ভালবাসিস। এতকথা আমাকে কেন ?
নন্দিনী হেসে বলে- তুইতো প্রিয় বন্ধু ! তোকে সব বলতে পারি ।
তোর ঝাকরা চুল ছিঁড়ব, কবিতার খাতা ফেলে যা খুশি তাই করব
কিচ্ছু বলতে পারবিনা, জানিতো তুই ও আমাকে ভীষণ ভালোবাসিস ;
          তোর কাছে আসি লুকানো কান্না কাঁদতে ।