খাঁচার পাখী ঠিক ছিল খাঁচার ভিতরে  
ইচ্ছা হয়েছিল, তার গোপন মনেতে ।
একদিন সে সুযোগ পেলে যাবেই উড়ে,  
দূর পাহাড়ে, আকাশের নীল দিগন্তে।
একদিন সে খেলোনা কিছুই দানাপানি
পাখী মালিকের ভীষণ হলো চিন্তা ।
তাই জেনে বুঝে রাখলো খুলে বদ্ধ খাঁচাটা  
পাখী ভাবলো বুঝি এসেছে সেই দিনটা ।


পাখী বসলো উড়ে বড় নিমের ডালে
অপার আনন্দে সে এদিক ওদিক চায় ।
জানেনা ও শিকার এখন বাজের চোখেতে  
কাকের হল্লাবলে শেষে প্রাণটা রক্ষা পায়।
তারপরে, ওতপেতে এক বাঘের মাসি
তার দিকে আসছে ধেয়ে গুটি গুটি পায় ।
তখন চড়ুইগুলোর প্রাণপন চিত্কারে
এবারেও পাখির পরান বেঁচে যায় ।


জগতটা অচেনা,প্রাণ নিয়ে চলে টানাটানি,
খাদ্য খাদক পাশাপাশি কেমন করে রয় ?
জীবনের ধারাপাত যে কিছুই শিখিনি,
রাধাকৃষ্ণ গাই আর দানা দুবেলা পাই ।
ডানাগুলো অবশ আজ, পেটেতে বড় খিদে
সে ভাবল মনে ভালোয় ছিলাম খাঁচায় ।
যেই না ভাবা তেমনিই সে গেল উড়ে  
স্বস্তি ফিরে আসে শেষে, আপন বদ্ধ খাঁচায়।