জানি আমি ভালবাসার অযোগ্য
কি আছে বল? কিচ্ছু নেই আমার!
অদ্ভুত ভাবে শুধু তোমায় দেখতে জানি ,
কখন কোথায় যাচ্ছ, গণকঠাকুরের মতন বুঝতে পারি।
এটাও বুঝতে পারি কোন শাড়ি পড়বে,
কেমন করে চুল বাঁধবে, কোন সুগন্ধি মাখবে;
তুমি যে এই পথ দিয়ে যাবে আবার আসবে।
কটার সময়? কার কাছে কতটা সময় পরে ফিরবে;
সব সব আমি টের পেয়ে যাই ।
কখনো কখনো আমার খুব খারাপ লাগে,
মাঝে মাঝে মনে হয় তোমাকে বোঝার
এত ক্ষমতা না থাকলেই ভাল হতো।


তুমিও বুঝতে পারো যে বসন্তে খাওয়া মুখের ছেলেটা
রাস্তার বামদিকের লাল রকে বসে আড্ডা দিচ্ছে ।
নির্দিষ্ট এলাকা তুমি সন্তর্পণে চোখ এড়িয়ে যাবে।
আমি বিশু পাগলাও নই, আমি রঞ্জন বা রাজাও নই ।
নিতান্ত একটা বখাটে এবং যা তা কিছু একটা।
এমন কারোর জন্য তোমার মন কেমন করবেই বা কেন?
তবু মনের কোনে একটু আলোর মতন ইচ্ছা ছিল ।
একদিন তুমি কুকুরের মতন হন্নে হয়ে খুঁজবে ।


ঠিক তাই আজ নিদিষ্ট এলাকার বাইরে ছিলাম
তুমি হন্নে হয়ে খুঁজছ, বন্ধুরা ফোন নাম্বার দিয়েছে ;
এইতো নাম ফুটে উঠেছে; স্ক্রিনে নম্বর চুরি করে রাখা ছিল  
আহ ... কি সুরেলা তোমার কণ্ঠ অনেক দিনের সাধ ছিল।
কোন মেয়ের গলা পাখীর মতন এত সুন্দর হতে পারে!
হয়তো পারে ...তুমি কিছু বলার চেষ্টা করছ! কি সেটা ?
এখুনি তোমার কাছে যাব ! তোমার সাথে যেতে হবে!
কোথায় কেন ? না প্রশ্ন নয় তুমি ডেকেছ সেটাই সব!
কাছে যেতেই বললে - গাড়ীতে ওঠো, শুধু তুমি আর আমি
দামি কালো গাড়িতে ইতস্তত করছি - কি হোল উঠে এসো।
তাড়াতাড়ি হাসপাতাল যাব, বাবার কিডনি অপারেশন!
তোমার রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ, কি, ঠিক বলছিতো;
            ইশারাতে বলি  - হ্যাঁ ।
মনে মনে হেসে বললাম - নন্দিনী আমার শরীরে
এখন যত রক্ত আছে আজ থেকে সব তোমার ...