এবার বোধহয় পথিকের বিশ্রামের প্রয়োজন
সমুখে ওই দেখা যায় টলমলে স্বচ্ছ জলাশয়
সারারাত পথ পরিক্রমায় ক্লান্ত শ্রান্ত তৃষ্ণার্ত
ত্রস্তপদে সে এগিয়ে যায় জলাশয়ের কাছে ।
আঁজলা ভরে তৃষিত পথিক পান করতে যেতেই
স্বচ্ছ জলাশয় ডুকরে কেঁদে উঠে বলতে থাকে
সাবধান পথিকবর পান করোনা এ পানীয় জল
মুহূর্তে জীবন্ত শরীর হয়ে যাবে কঠিন মর্মরসম,
তুমি অন্য কোথা যাও । করজোরে মিনতি করি ।
ব্যর্থ পথিক ভগ্ন মনরথে ফিরে যায় অন্য কোথা।


এই শানবাঁধানো বটচ্ছায়ায় বিশ্রাম নেব ক্ষণকাল।
চকিতে পথিক চমকে ওঠেছে,গুরু গম্ভীরধ্বনি শুনি,
বটবৃক্ষ কাতরে প্রাথনা করে এখানে নয় পথিক
ফিরে যাও তুমি অন্যকোথা, এখানে হবেনা ঠায়।
বিষণ্ণবদনে পথিক কহে কেন কি কারণে আমি ব্রাত্য?
ফিরিয়ে দিয়েছে জলাশয়, ফেরালে তুমি বনস্পতি!
আমার কি অপরাধ যদি বল একবার শুনিতে সাধ।
প্রকৃতির আলো বাতাস জল ছায়া থেকে কেন বঞ্চিত?
প্রকল্পের অনুপ্রেরনা যার শ্বেতপ্রস্তরে খোদিত সে নাম
গাও জয়গান দাও সম্মান,পরে ভোগ করো তাঁর প্রসাদ।