অষ্টমী কে বলেছিলাম
কাল এসে তোমার পাওনা শাড়ি নিয়ে যেও।
ও আগেই বলেছিল, আমার জন্য নয় বৌদি
এবারে যদি দাও তো মেয়ের জন্য দিও।
ওর ঘাম চকচকে মুখে ঝিলিক খুশী দেখেছিলাম।
মনে মনে ভাবলাম কাল ষষ্ঠী যদি না আসে !
কেনা আছেই দিতেই পারতাম...  দেখিনা...।


অষ্টমী পরেরদিন আসেনি, তারপরের দিনে ও নয় ।
টি ভি র খবরে একটু চমকে গিয়েছিলাম ।
খালের জলে ভেসে উঠেছে কমবয়সী নারী শরীর ।
মনটা কেমন করল ।  কত কি ভাবনা এলো।
এমন তো আকছার হয়ে থাকে, কি হবে ভেবে ।
কিন্ত এযে আমার বাড়ির খুব কাছে ।
কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারলাম না ।


অষ্টমী'র পাড়াতে গেলে কেমন হয় ?
ওর মেয়ের শাড়িটা পেলে হয়ত খুব ভাল লাগবে;
ভাবলাম পূজার দিনে মেয়েটা পড়তে পারবে  
ওর বাড়িটা তো খাল ধারের ওপারে ।
সেখানে না গেলেই হয়তো ভাল হতো ।
যা শুনলাম শুনে রক্ত হিম হয়ে গেল।


অষ্টমী'র শরীর খারাপ তাই মেয়েকে বলেছিল
- যা বৌদিমনির কাছে গেলেই তোর শাড়িটা পাবি।
অসুরেরা তক্কে তক্কে ছিল ; কালবৈশাখীর মত বিপদ।
নিমেষে পিরনহা মাছের মতন ওরা যৌবন শুষে নেয় ।
তারপর ইস্পাত ফলায় প্রানটুকু কেড়ে নেয় ;
আশ্চর্য ! ছটফটে দেহটা কেমন ধিরে হয়ে গেল নিষ্প্রাণ ।
দেহটা ফেলে টুপ করে ফেলে দেয় খালে,
তারপর শুধু একটা শব্দ ঝপাৎ ...
অবাককাণ্ড পরেরদিন অষ্টমী'র মেয়ে খবরের হেডলাইন...


কি করি। আমার হাতে মেয়ের নতুন শাড়িটা
লাঞ্ছিত শরীরটাকে ঢেকে দেবার চেষ্টা করলাম।
কি জানি দোষ হয়তো আমারই ছিল
         তাই দু ফোটা চোখের জল গড়িয়ে গেল ।