এসেছে শরত
বাবা নাকি দুরদেশ থেকে ফিরছে আবার ঘরে।
অনেককদিন হোল দিদি ও ছিল দূরের শহরে।
সেও নাকি এবার পূজায় আসবে ফিরে।
মায়ের মুখে হাসি দেখেছি কাশফুলের মতন
আর দেখেছি হিমেল অভিমান
ঝরে পড়া শিউলি গানের মতন।


মুদি কাকা বাঁকা চোখে দেখত যখন মাকে;
মা আমার গুটিয়ে যেত শুঁয়োপোকার মতন।
কালকে মা শুনিয়ে দিয়েছে ঠিক যেন সিংহ-বাহনে সেজে।
এসব দেখে জুড়িয়ে গেল আমার ছোট্ট পরান।
পটলির মা থমকে গেল শুনে মায়ের গর্জন ;
মেয়ে আমার শহরে থাকে, গতর খাটায় করে উপার্জন
তাতে তোদের কেন মাথা ব্যথা বুঝিনা বাপু ধরন।
মনে হোল মা যেন একে একে করছে অসুর-নিধন।


মা আমার আল্পনা দেয়
ছোট্ট ঘর গুছিয়ে রাখে যেন অভাব নেই কিছুর।
জানলা দিয়ে থাকে চেয়ে ওই বুঝি ওরা আসে।
লাস্ট ট্রেনটা চলে গেছে অনেক্ষন
মায়ের চোখে ঘুম নেই, জেগে থাকে ডাকের অপেক্ষায়।
মায়ের চোখে করুণা ঝরে, ঠিক যেন দুর্গা মায়ের মতন ।