রেগে আগুন যেন তেলে বেগুন
        দিদিমণির চোখে ঝরছে যেন আগুন ।
বড় সাধের সে পার্কার পেন
        ক্লাসের ভিতরে চলছে তার সন্ধান।
দিদিমণি এমনিই খুব ভালো
        রাগলে তিনি এক্কেবারে অন্য মানুষ।
আপন পর সে কিচ্ছু মানেনা
        মেজাজ হারালে থাকেনা তার হুঁশ।
ক্লাস সেভেনে পড়া মেয়েগুলো
        যেন হাসপাতালে হটাত সদ্যজাত ।
সময় নিয়ে চলে চিরুনি তল্লাশি
        মায় বই ব্যাগ তাও যাবেনা বাদ।
একজন ছাড়া সন্ধান শেষ হোল
        তীব্র দৃষ্টিতে ব্যাগটি আগলে পাঁজরে ।
বিনাযুদ্ধে সে দেবেনা সূচাগ্র মেদিনী
        তাই ছাত্রীর ব্যাগ কাড়ে সে সজোরে।
তাল সামলাতে না পারে মেয়ে
        মুখ থুবড়ে মাটিতে গিয়েছে পড়ে ।
চিৎকার ধ্বনিতে অধ্যক্ষা আসে ঘরে
        মেয়ে দাঁড়ায় মুখে তার রক্ত ঝরে ।
সব দেখে শুনে তিনি বিচারে বলেন
        খুঁজে দেখো কি আছে ওই ব্যাগে?
তবু মেয়ে ব্যাগ জাপটে থাকে
       অনুরোধ করে খুঁজোনা কিছু আগে।
এখানেই আছে আমার সাধের কলম
        সত্যি কথা, চোরের মায়ের বড় গলা।
ধীর পদক্ষেপে অধ্যক্ষা মেয়ের কাছে
        খুঁজে বের করে অবশিষ্ট খাবার দলা।
তন্নতন্ন করে কলম মেলেনি সেথা,
         ছোট্ট মেয়ে মাথাটা করেছে নিচু ।
সারাটা ক্লাসে অদ্ভুত এক নিরবতা
         ডেস্কে ছড়ানো অভুক্ত খাবার কিছু।
প্রশ্ন শুনে, বুক টানটানে বলে মেয়ে
        প্রতিদিন অভুক্ত খাবার সংগ্রহ করি।
আমার মা বাবা আর পরিবার
          তাদের ক্ষুদা আমিই নিবৃত্ত করি ।
সারা ক্লাসের জোড়া জোড়া চোখে
          ঝরে পড়ে সাগরের নোনা পানি।
অতি যত্নে মেয়ের রক্ত মুছিয়ে দিয়ে
        দিদিমণি মেয়েকে নেয় বুকে টানি।।


  



        


        
* মিডিয়ার একটা খবরে দেখে মনে খূব দাগ কাটল । তাই ''OVUKTO KHABAR'' "অভুক্ত খাবার "